শেষ করে ফেরার সম্ভাবনা তিনি জাগিয়েছিলেন। হারারেতে বৃহস্পতিবার ১৫২ রান তাড়ায় মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে সৌম্যর উদ্বোধনী জুটিতেই রান উঠে যায় ১০২।
নিজেদের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ পায় উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম শতরানের দেখা।
তবে যে শট খেলে রান নিয়ে ফিফটি পূর্ণ হয় সৌম্যর, সেটিতেই দ্বিতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় হয়ে যান রান আউট। আরেক ওপেনার নাঈম দলকে জিতিয়ে ফেরেন ৬৩ রান করে।
তবে রান কিছু কম করলেও একটি উইকেট নেওয়ায় ম্যান অব দা ম্যাচ হন সৌম্যই। ম্যাচ শেষে তবু তিনি হতাশার কথা শোনালেন বিসিবির ভিডিও বার্তায়।
“অবশ্যই হতাশ হয়েছি। রান আউট হয়েছি…যদি আমি থাকতাম, শেষ করে আসতে পারতাম, তাহলে নিজের আত্মবিশ্বাসের জন্য তো ভালো হতোই, ম্যাচও অন্তত আরও দুই ওভার আগে শেষ হতে পারত। ওদের বাঁহাতি স্পিনার ছিল, আমি থাকলে চার্জ করতে পারতাম।”
এই ম্যাচে অবশ্য তার ইনিংস শুরু করার কথাই ছিল না। নাঈমের সঙ্গে ওপেন করার কথা লিটন দাসের, সৌম্যর পজিশন তিন নম্বর। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে বাইরে যান লিটন। ম্যাচের মাঝবিরতিতে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো গিয়ে সৌম্যকে জানান ওপেন করার কথা।
শুরুতে খানিকটা অস্বস্তি ছিল তার ব্যাটে। এই ম্যাচের আগে জাতীয় দলের হয়ে তার সবশেষ ম্যাচ ছিল গত ১ এপ্রিল, নিউ জিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি। এই বিরতিতেই হয়তো আসে জড়তা। প্রথম ১১ বলে ছিল ৪ রান।
পঞ্চম ওভারে লুক জঙ্গুয়ের বলে ছক্কা মারার পর থেকে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন। সৌম্য জানালেন, শুরুর সময়টায় নিজেকে বুঝিয়ে সাফল্যের পথ খুঁজে নিয়েছেন তিনি।
“চার মাস পর খেললাম (আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে), সবশেষ নিউ জিল্যান্ডে খেলেছিলাম। আজকে প্রথমে একটু নড়বড়ে লাগছিল। প্রথম কয়েকটি বলে যে শট খেলেছি, সব হাতে (ফিল্ডারের) চলে যাচ্ছিল। তখন নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলেছি যে একটু সময় নেওয়া উচিত আমার। কয়েকটি বল খেলে একটি চার বা ছয় এলে তখন আবার নিজের মতো যাওয়া যাবে।”
“ওটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। পরে যখন আমার পছন্দের একটি বল পেয়েছি, ছক্কা মেরেছি। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি তখন।”
শুরুটা ধীরে করেছিলেন সৌম্যর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী নাঈমও। প্রথম ৩ ওভারে তাই বাংলাদেশের রান ছিল কেবল ৯। তবে ওই সময়টায় তাড়াহুড়ো করবেন না বলেই ঠিক করেছিলেন তারা দুজন।
“প্রথম দিকে যখন রান আসছিল না, উইকেটে নাঈমের সঙ্গে কথা হচ্ছিল যে একটা ওভারে ১০-১২ রান হলেই পুষিয়ে নেওয়া যাবে। নাঈম এক ওভারে তিন চার মারে, গতিটা তখন আমাদের দিকে আসে। এরপর আমরা সেটা চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।”