মুমিনুল ছাড়াও এখন দেশের পথে আছেন ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, ইয়াসির আলি চৌধুরি ও অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
শুধু টেস্ট দলে ছিলেন দুই পেসার আবু জায়েদ চৌধুরি ও ইবাদত হোসেন চৌধুরিও। তবে তাদের রেখে দেওয়া হয়েছে জিম্বাবুয়েতে। ওয়ানডে দলের প্রস্তুতিতে সহায়তা করবেন তারা নেট বোলিংয়ে।
হারারে টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও পড়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ২২০ রানে। দেশের বাইরে বাংলাদেশের যা সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।
প্রথম ইনিংসে দলের বিপর্যয়ের সময়ই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মুমিনুল। সাদমান প্রথম ইনিংসে ২৩ রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে করেন অপরাজিত ১১৫। যেটি তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
শান্তও প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন সময়ের দাবী মেটানে ১১৮ বলে ১১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। সাইফ হাসান প্রথম ইনিংসের শূন্যের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪৩ রান। ইবাদত ম্যাচে নেন ১ উইকেট।
ইয়াসির, আবু জায়েদ ও নাঈম একাদশে ছিলেন না। চোট পাওয়া মুশফিকের জায়গায় অবশ্য প্রায় পুরো সময়ই ফিল্ডিং করেন ইয়াসির, দুই ইনিংসে ক্যাচ নেন দুটি।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের যারা টেস্ট দলে ছিলেন না, তারা এর মধ্যেই জিম্বাবুয়ে গিয়ে অনুশীলন করছেন।
জিম্বাবুয়েতে সীমিত ওভারের বাংলাদেশ স্কোয়াড:
ওয়ানডে: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।
টি-টোয়েন্টি: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।