এবারের লিগের প্রথম সেঞ্চুরি মিজানের ব্যাটে

সালাউদ্দিন সাকিলের লেংথ বল আলতো করে মিড উইকেটে ঠেলে অনায়াস একটি রান। ওই সিঙ্গেলে মিজানুর রহমান পৌঁছে গেলেন এমন এক ঠিকানায়, যেখানে পৌঁছাতে পারেননি ক্যারিয়ারে আগে কখনও। যেখানে পা পড়েনি এবারের ঢাকা লিগে আর কারও। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার আর এবারের লিগের সেঞ্চুরি খরা কাটালেন মিজান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2021, 04:48 AM
Updated : 17 June 2021, 07:36 AM

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ৬৩তম ম্যাচে এসে দেখা মিলল প্রথম সেঞ্চুরির। বিকেএসপিতে বৃহস্পতিবার শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে উপহার দিলেন মিজান। ব্রাদার্স ইউনিয়ন অধিনায়কের ৬৫ বলের সেঞ্চুরিতে চার ১৩টি, ছক্কা ৩টি।

মুনিম শাহরিয়ারের অপরাজিত ৯২ ছিল এবারের লিগের আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। মিজানের আগের সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৯ ছিল এই লিগেই।

সেঞ্চুরির পথে চলতি লিগের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪০০ রানের সীমানাও স্পর্শ করেন মিজান।

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ইলিয়াস সানির শর্ট বলে পুল করে চার মেরে শুরু হয় মিজানের ছুটে চলা। চতুর্থ ওভারে সানিকেই মারেন দুই চার এক ছক্কা। তার ব্যাটে বাউন্ডারি আসতে থাকে প্রায় প্রতি ওভারেই। পাওয়ার প্লে শেষে বাঁহাতি পেসার সাকিলের ওভারে মারেন চারটি বাউন্ডারি। ওই ওভারেই স্পর্শ করেন ফিফটি, ৩১ বলে।

ফিফটির পরপর দুটি ছক্কা মারেন এনামুল হক ও সৈকত আলিকে। পরে তানবীর হায়দারকে টানা দুই বলে বাউন্ডারিতে যখন শেষ করেন ১৩তম ওভার, মিজানের রান তখন ৫৩ বলে ৮৮।

শতরানের কাছাকাছি গিয়ে একটু সাবধানে খেলতে থাকেন। পরের ১২ রান আসে ১২ বলে, এই সময়টায় মারেননি একটিও বাউন্ডারি।

দলের ইনিংস বলতে গেলে টেনে নেন তিনি একাই। তার শতরান ছোঁয়ার সময় দলের রান ছিল ১৩৩। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়েন তিনি, যেখানে সঙ্গী জাহিদের রান ৩৪ বলে ২৫।

মিজানের শতরান ছোঁয়ার ওভার শেষেই বৃ্ষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। এরপর আর খেলাই শুরু হতে পারেনি।

১১ ম্যাচে চারটি করে জয় ও হার, তিন ম্যাচ পরিত্যক্ত, সব মিলিয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে থেকে লিগ শেষ করল ব্রাদার্স। শেখ জামাল সুপার লিগে যাচ্ছে ১৩ পয়েন্ট সঙ্গী করে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ১৭ ওভারে ১৩৩/২ (মিজানুর ১০০*, জসিমউদ্দিন ১, জাহিদুজ্জামান ২৫; সোহরাওয়ার্দী ৩-০-১৯-০, ইলিয়াস সানি ৪-০-৩১-১, ইবাদত ২-০-১১-০, সাকিল ৩-০-৩১-১, এনামুল ১-০-৮-০, তানবীর ৩-০-১৯-০, সৈকত ১-০-১৩-০)।

ফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত।

ওল্ড ডিওএইচএস-প্রাইম দোলেশ্বর

তলানির দিকে থাকা ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে জয়টাই প্রত্যাশিত ছিল প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের। কিন্তু তাদের আশায় চোট লাগল বিরূপ প্রকৃতিতে। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে মিলল কেবল ১ পয়েন্ট।

বিকেএসপিতে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ওল্ড ডিওএইচএস ৬ ওভারে তোলে ৫১ রান। তবে ওপেনার প্রীতম কুমার ১৪ বলে ২১ রানে আউট হওয়ার পর কমে আসে তাদের রানের গতি।

আরেক ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন ২৮ করেন ২৮ বলে, তিনে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় ২১ বলে ২০। দুটি উইকেটই নেন ফরহাদ রেজা।

১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১১০ রান তোলার পর বৃষ্টিতে থেমে যায় খেলা। পরে আর শুরু হয়নি।

১১ ম্যাচে সাত জয়, দুটি করে হার ও পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে মোট ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রাইম দোলেশ্বর শুরু করবে সুপার লিগের অভিযান। ১১ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ওল্ড ডিওএইচএস রেলিগেশন লিগে লড়বে প্রিমিয়ারে টিকে থাকতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওল্ড ডিওএইচএস: ১৫ ওভারে ১১০/৩ (আনিসুল ২৮, প্রীতম ২১, মাহমুদুল ২০, রাকিন ২৭*, রায়ান ৯*; শফিকুল ২-০-১৭-০, এনামুল জুনি. ৪-০-১৮-০, শরিফউল্লাহ ১-০-১১-০, কামরুল রাব্বি ১-০-১০-১, ফরহাদ রেজা ৪-০-২৮-২, রেজাউর ৩-০-২৪-০)।