ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে বুধবার ২৮ রানে জিতেছে দোলেশ্বর।
সাইফের ফিফটিতে ৯ উইকেটে ১৩২ রান করে দলটি। এক বল বাকি থাকতে ১০৪ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনীর ইনিংস। তাদের কেউ যেতে পারেননি ৩০ পর্যন্ত।
২.৫ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন রাব্বি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইমরান উজ্জামান ও সাইফের ব্যাটে শুরুটা ভালো করে দোলেশ্বর। তবে ঝড়ের আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমরান। ১৬ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৩ রান করে আরাফাত সানির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামেন তিনি। ফজলে মাহমুদকে দ্রুত বিদায়ে করেন মোসাদ্দেক হোসেন।
এরপর নিজেদের সেরা জুটিটি পায় দোলেশ্বর। গ্যাপ খুঁজে পেতে সমস্যা হলেও একের পর এক ছক্কায় রানের চাকা সচল রাখেন সাইফ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দেন মার্শাল আইয়ুব।
মার্শালকে ফিরিয়ে ৫৪ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান রানা। এরপর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি দোলেশ্বর। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি সাইফ। ৪৯ বলে খেলা তার ৫৮ রানের ইনিংসে ছয় ছক্কার পাশে চার একটি।
বাঁহাতি হাসান মেহেদি রানা ৩ উইকেট নেন ২৮ রানে। আরেক পেসার তানজিম হাসান ২ উইকেট নেন ২৬ রানে।
রান তাড়ায় শুরুতেই মুনিম শাহরিয়ারকে হারায় আবাহনী। আগের দুই ম্যাচে অপরাজিত ৯২ ও ৭৪ রানের ইনিংস খেলা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেন ৮ রান করে।
আগের ম্যাচে ফিফটির পর এবার নাজমুল হোসেন শান্ত করতে পারেন কেবল ৮ রান। তিনিও অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার শরিফউল্লাহর শিকার।
অফ স্পিনার শামীম হোসেনকে রিভার্স সুইপ করে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে দ্রুত ফিরেন মুশফিকুর রহিম। অনেকটা সময় ক্রিজে থেকেও তেমন কিছু করতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আবাহনী তাকিয়ে ছিল আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনের দিকে। দলকে টানতে পারেননি তারাও। ঝড়ের আভাস দিয়েই থেমে যান আফিফ। এনামুল হক জুনিয়রকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৫ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় করেন ২৬ রান।
বাজে এক শটে থামেন মোসাদ্দেক। খুব একটা লড়াই করতে পারেননি পরের ব্যাটসম্যানরা। রাব্বির দারুণ বোলিংয়ে ২৩ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় আবাহনী।
১০ ম্যাচে সপ্তম জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে দোলেশ্বর। সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে আবাহনী।
১৬ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় রয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এই তিন দলের সঙ্গে সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়েছে মোহামেডান, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম দোলেশ্বর: ২০ ওভারে ১৩২/৯ (ইমরান ২৩, সাইফ ৫৮, ফজলে রাব্বি ১, মার্শাল ২০, শামীম ৩, ফরহাদ ৭, শরিফউল্লাহ ৪, রাব্বি ৭, রাজা ০*, শফিকুল ০; সাইফ ৪-০-৩৪-১, তানজিম ৪-০-২৬-২, সানি ৪-০-১৬-১, মোসাদ্দেক ২-০-৩-১, আমিনুল ২-০-২৪-০, মেহেদি রানা ৪-০-২৮-৩)
আবাহনী: ১৯.৫ ওভারে ১০৪ (নাঈম ২২, মুনিম ৮, শান্ত ৮, মুশফিক ৪, মোসাদ্দেক ১৪, আফিফ ২৬, সাইফ ৩, আমিনুল ০, তানজিম ৯, মেহেদি রানা ১, সানি ৭*; শফিকুল ১-০-১০-০, শরিফউল্লাহ ৪-০-১২-২, এনামুল জুনিয়র ৩-০-২৪-১, শামীম ৩-০-১৫-১, সাইফ ৩-০-২০-১, রাজা ৩-০-১২-১, রাব্বি ২.৫-০-১১-৪)
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ২৮ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কামরুল ইসলাম রাব্বি