নিউ জিল্যান্ড শুধু টেস্ট খেলছেই না, নিজেদের শক্তির বার্তাও কিছুটা দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিয়ে লর্ডস টেস্টের চার দিন শেষে এগিয়ে তারাই। এই ধরনের কন্ডিশনে তারা এমনিতেই অভ্যস্ত, এবার মানিয়ে নেওয়ার সময়-সুযোগ মিলেছে আরও বেশি।
লক্ষ্মণ তবু ভারতকে এগিয়ে রাখার যুক্তি তুলে ধরলেন স্পোর্টস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।
“ দুই দলই ভালো, তবে আমার মতে, ফেবারিট হিসেবে শুরু করবে ভারত। কারণ যেভাবে এই দল খেলে আসছে, শুধু গত দুই বছরে নয় (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময়ে), বরং লম্বা একটা সময় ধরে।”
“ তারা সব ধরনের চ্যালেঞ্জকে আপন করে নিয়েছে এবং যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক না কেন, জয় করেছে। গত অস্ট্রেলিয়া সফরেই যেমনটি দেখিয়েছে। এই ভারতীয় দলের প্রতিভা ও গভীরতা অনেক।”
নিউ জিল্যান্ডের প্রস্তুতি যে ভালো, সেই বাস্তবতা এগিয়ে যাচ্ছেন না লক্ষ্মণ। তবু এই ভারতীয় দলের চ্যালেঞ্জ জয়ের ক্ষমতায় তার বিশ্বাস প্রবল।
“ তাত্ত্বিক দিক থেকে এটি অবশ্যই নিউ জিল্যান্ডের বাড়তি সুবিধা, কারণ বিদেশের কন্ডিশনে মূল ম্যাচের আগে দু-একটি ম্যাচ সবাই খেলতে চাইবে। কোনো সংশয় নেই যে এটা মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে। বছরের পর বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে, বিশেষ করে ভিন্ন কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানদের মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। নিউ জিল্যান্ড তাই তাত্ত্বিকভাবে এগিয়ে।”
“ কিন্তু এই ভারতীয় দল কখনোই পিছপা হয় না, চ্যালেঞ্জ যেমনই হোক। গত অস্ট্রেলিয়া সফরে যে মানসিকতা ও ইতিবাচকতার প্রমাণ তারা মেলে ধরেছে, কোনো দলকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা আগে করতে দেখিনি আমি। প্রথম টেস্টে ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পর, মূল অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ছাড়া, এত এত চোট-আঘাতের মধ্যে দ্বিতীয় সারির ভারতীয় দল যেভাবে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের দেশে হারিয়েছে, সেটা অসাধারণ।”
ম্যাচ শুরুর পর অবশ্য লক্ষ্মণের হিসাব অন্যরকম। টেস্টে ভারতের হয়ে স্মরনীয় বেশ কিছু ইনিংস উপহার দেওয়া সাবেক ব্যাটসম্যানের মতে, ফাইনালের ভাগ্য গড়ে দেবে প্রথম ইনিংস।
“ আমার মনে হয়, দুই দলই প্রায় সমান্তরালে থাকবে। তবে যেহেতু, এক ম্যাচের ফাইনাল, কোনো সিরিজ নয়, যে দল প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাট করবে, তারা এগিয়ে যাবে এবং ম্যাচের বাকিটা জুড়ে তাই দাপট দেখাবে।”
আলোচিত এই ফাইনাল শুরু হবে আগামী ১৮ জুন।