হারের চক্র ভেঙে নতুন শুরুর আশায় অধিনায়ক

অধিনায়ক মুমিনুল হকের জন্য দেশের বাইরের টেস্ট যেন ছিল দুঃস্বপ্ন হয়ে। তিনটি টেস্টেই ইনিংস পরাজয়ের স্বাদ। দেশের মাটিতেও তা মধুর নয়; সবশেষ সিরিজে হোয়াইওয়াশড হওয়ার স্মৃতি এখনও তাজা। সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাস ঠেকেছিল তলানিতে। সেদিক থেকে পাল্লেকেলে টেস্ট ড্র স্বস্তি হয়ে এসেছে বাংলাদেশের জন্য। মুমিনুলের কাছে, যা ভালো লক্ষণ, ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2021, 03:37 PM
Updated : 25 April 2021, 06:47 PM

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান উৎসবের প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ায় ভেঙেছে বাংলাদেশের হারের চক্র। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কাতেই কলম্বো টেস্ট জেতার পর দেশের বাইরে টানা ৯ টেস্ট হার, এর সাতটিই ইনিংস ব্যবধানে।

দেশের বাইরের পারফরম্যান্স খারাপ হলেও ঘরের মাঠে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স তুলনামূলক বেশ ভালো। এমনকি এখানে লাল বলের ক্রিকেটেও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য আছে তাদের; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেটাও পারেনি তারা। বছরের শুরুতে অভিজ্ঞ অনেক খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলতে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হয় মুমিনুলের দল। এর আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল।

টেস্টে সাম্প্রতিক সময়ের সাফল্য বলতে গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি মাত্র জয়।

হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া দলের জন্য ড্র-ই তো বড় স্বস্তি। রোববার পাল্লেকেলে টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা শেষে, যা অকপটে স্বীকার করে নিলেন মুমিনুল।

“জিম্বাবুয়ে টেস্ট ছাড়া দেশের মাটিতে সবশেষ সিরিজ, এর আগে দেশের বাইরে সিরিজে তেমন ভালো ফল করতে পারিনি। সেই হিসেবে চিন্তা করলে এই টেস্টে আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। দেশের মাটিতে একটা সিরিজ হারার পর বিদেশে টেস্ট ড্র করতে পারা আমার কাছে মনে হয়, ভালো একটা লক্ষণ।”

“দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্যই সবার ভেতরে আত্মবিশ্বাস থাকবে। ইতিবাচক একটা মনোভাব নিয়ে সবাই নামতে পারবে। দলগত একটা পারফরম্যান্স ছিল। বাংলাদেশ যখনই একটা দল হয়ে খেলতে পারে তখনই ভালো অবস্থায় থাকে।”

প্রথম টেস্টে দলের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং নিয়ে খুশি অধিনায়ক। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে প্রথম ইনিংসে ছিল দুটি সেঞ্চুরি- একটি করেন তিনি নিজেই, অন্যটি নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ইনিংসেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেন তামিম ইকবাল।

উইকেটে তেমন সহায়তা না থাকলেও দারুণ বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। সাধ্যমতো চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা। সতীর্থদের নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই অধিনায়কের। একই ভেন্যুতে বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে জিততে তিন বিভাগেই উন্নতি চাইলেন মুমিনুল।

“উন্নতির তো শেষ নেই। আমার মনে হয়, তিন বিভাগেই উন্নতির জায়গা আছে। পেস বোলিংয়ে নতুন বলে উন্নতি করতে হবে। আমার মনে হয়, ব্যাটিং আমাদের মূল শক্তি। কাজেই ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে।”