আবু ধাবি টি-টেন টুর্নামেন্টে বৃহস্পতিবার নর্দান ওয়ারিয়র্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স। ১২৮ রানের লক্ষ্যে পরপর দুই বলে চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান অধিনায়ক মোসাদ্দেক।
৩ বলে ৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। মুক্তার ৪ বলে ৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। এর আগে তিনি বল হাতে ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
রান তাড়ায় অবশ্য মারাঠার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন আব্দুল শাকুর বাঙ্গাশ। ছক্কায় ১৪ বলে ফিফটি করেন এই ওপেনার। ২৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৩ করে ফেরেন তিনি। মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাট থেকে ৮ বলে ২ ছক্কা ও এক চারে আসে ১৯ রান।
মারাঠা দলে ছিলেন আরেক বাংলাদেশি সোহাগ গাজি। বোলিং-ব্যাটিং কোনোটিরই সুযোগ পাননি তিনি।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণ চালান নর্দানের দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও লেন্ডল সিমন্স। এই দুই জনের ৬২ রানের জুটি ভাঙে মুক্তারের ওভারে। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হয়ে ফিরে যান ১৩ বলে ৪ ছক্কায় ২৯ করা কিং।
নিজের নামের পাশে প্রথম ওভারেই একটি উইকেট থাকতে পারত মুক্তারের। কিন্তু বাংলাদেশের এই পেসারের বলে নিকোলাস পুরানের ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি ফিল্ডার। পরে সেই পুরানই তাকে মারেন একটি করে ছক্কা ও চার।
পরের ওভারে এসে অবশ্য পুরানকে ফেরান মুক্তার। ডিপ মিড-উইকেটে ধরা পড়েন ৯ বলে এক ছক্কা ও ২ চারে ১৯ করা নর্দান অধিনায়ক।
প্রথম ওভারে ১৪ রান দেওয়া মুক্তার দ্বিতীয় ওভারে ৫ রান দিয়ে নেন এক উইকেট।
সিমন্স ৩১ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রানে করে অপরাজিত ছিলেন। রভম্যান পাওয়েল শেষ দিকে দুটি করে ছক্কা-চারে ৭ বলে করেন ২২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নর্দান ওয়ারিয়র্স: ১০ ওভারে ১২৭/২ (কিং ২৯, সিমন্স ৫৪*, পুরান ১৯, পাওয়েল ২২*; কামি ২-০-২৮-০, আহমাদজাই ২-০-৩১-০, তাম্বে ২-০-১৭-০, হাফিজ ১-০-২১-০, মুক্তার ২-০-১৯-১, মোসাদ্দেক ১-০-১১-০)।
মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স: ১০ ওভারে ১৩১/৫ (আহমাদাই ৬, বাঙ্গাশ ৭৩, ইভান্স ৯, হাফিজ ১৯, ইশান ৮, মোসাদ্দেক ৯*, মুক্তার ৩*; থিকশানা ২-০-৩২-১, পার্নেল ২-০-২৯-০, ওয়াহাব ২-০-৩৭-০, এমরিত ২-০-২১-১, লিন্ডে ২-০-১১-২)।
ফল: মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আব্দুল শাকুর বাঙ্গাশ।