বল টেম্পারিং কাণ্ড না ঘটলে হয়তো এখনও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক থাকতেন স্মিত। সেসময় এক বছর নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি স্মিথকে নেতৃত্ব থেকেও অন্তত দুই বছরের জন্য দূরে রাখার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই দুই বছর শেষ বেশ আগেই। তবে তার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বে বেশ জমে গেছেন টিম পেইন।
পেইনের অধিনায়কত্বের সমালোচনাও আছে বেশ। তবে আগামী অ্যাশেজের আগে তাকে সরিয়ে দেওয়া বা তার সরে যাওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই। হিলিও এখনই পরিবর্তন চাচ্ছেন না। এসইএন রেডিওর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বললেন, ভবিষ্যতে স্মিথকে দেখতে চান নেতৃত্বে।
“এখন থেকে ১২ বা ১৮ মাস সময়ের মধ্যে আমি চাই সে এটা করুক (অধিনায়কত্ব)। অবশ্য যদি সে চায়, কারণ এটিই সুযোগ শাপমোচনের। আমি চাই সে শক্তভাবে নেতৃত্ব দিক, খেলাটির সেই নায়ক হয়ে উঠুক এবং সংশয়বাদী ও অপছন্দকারীদের চুপ করিয়ে দিক। আমি দায়মোচন পছন্দ করি। খুব বেশি কিছু না করেও সে অনেক বেশি মূল্য চুকিয়েছে।”
“ বিশ্বের সবাই মনে করেন, সে নখ নিয়ে বল খুটেছে। অথচ সে অধিনায়ক হিসেবে স্রেফ একটু নিষ্ক্রিয় ছিল এবং দলে একটা কিছু হতে দিয়েছে, যা তার জানাও ছিল না।”
পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া গড়ে তুলছে প্যাট কামিন্সকে। বেশ কিছুদিন ধরেই সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে আছেন এই ফাস্ট বোলার। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ফাস্ট বোলারদের নেতৃত্ব বিরল। সবশেষ কোনো স্পেশালিস্ট পেসার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে টস করেছিলেন সেই ১৯৫৬ সালে। সেটিতেও রে লিন্ডওয়াল ছিলেন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে।
সর্বকালের সেরা কিপারদের একজন বলে বিবেচিত হিলি অবশ্য কামিন্সের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
“ আমার মনে হয়, কামিন্সকে আমরা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে চেষ্টা করে দেখতে পারি। অভিজ্ঞতাটা সে নিক। দেখা যাক, কতটা মানিয়ে নিতে পারে। ওকে নিয়ে শুরু করার ভালো পথ হতে পারে এটি।”