৪২ বলের সেঞ্চুরিতে পারভেজ আন্দোলিত করেছেন দেশের ক্রিকেট আঙিনা। ২২০ রানের পাহাড় টপকেও জেতা যায়, প্রথমবার দেখেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
পারভেজ টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন দারুণ এক ফিফটি দিয়ে। চারটি ছক্কার একটিতে সেদিন গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেছিলেন সাকিব আল হাসানকে। তবে ৫১ রানের ওই ইনিংসের পর আর সেভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। পরের ৪ ইনিংস মিলিয়ে করতে পারেন মোটে ৫৩।
এরপর দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া এই ম্যাচ জেতানো ইনিংস। কীভাবে সম্ভব হলো এই ঘুরে দাঁড়ানো? দলের অনুশীলন শেষে বুধবার সেই গল্প শোনালেন ফরচুন বরিশাল দলের ম্যানেজার ও সাবেক জাতীয় পেসার হাসিবুল হোসেন।
“কালকে সকালে ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তখন আমাকে বলল তাকে ফ্রি খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি ওকে বললাম, ‘কে ফ্রি খেলতে দিচ্ছে না?’ এরপর আমি তামিমকে (অধিনায়ক) বললাম, ‘ওকে ফ্রি খেলতে দাও, ওর মতো খেলতে দাও।’ তামিম ওকে বলল, ‘তুমি তোমার মতো খেলো, কোনো সমস্যা নেই।’ তামিম বলার পর ওর ভেতরে যে উৎসাহ জেগেছে, সেখান থেকেই ওর এমন ইনিংস, আমার যেটা মনে হয়।”
পারভেজ বরাবরই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত। হাতে জোর প্রচণ্ড, নিজের জোনে বল পেলে বড় শট খেলেন নিয়মিতই। তবে এভাবে ক্রমাগত শট খেলে যাওয়া, প্রতিপক্ষের বোলিং গুঁড়িয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেলা, সোজা ব্যাটে ও কাভারে দারুণ সব শট, এসবে চমকে গেছেন অনেকেই।
জুনিয়র নির্বাচক হিসেবে কাজ করার সুবাদে বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই পারভেজকে দেখে আসছেন হাসিবুল। সেই তিনিও মুগ্ধ পারভেজের শটের পরিধি বাড়তে দেখে।
“অনূর্ধ্ব-১৭ থেকে ওকে দেখে আসছি আমি। এটাই ওর সহজাত খেলা, সবসময়ই এভাবে শট খেলতে পছন্দ করে। এখানে সে আরও ভালো ক্রিকেট খেলেছে। কিছু শট, যেমন ছক্কাগুলো যেগুলো মেরেছে, সবগুলোই খুব সুন্দর ব্যাটে-বলে করতে পেরেছে। সোজা শট খুব ভালো খেলেছে, আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে এখানে। এটা ও ধরে রাখতে পারলে পরবর্তী ম্যাচগুলির জন্য আমাদের বাড়তি পাওনা হবে।”
পরের ম্যাচে বৃহস্পতিবার ফরচুন বরিশালের প্রতিপক্ষ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।