দলের যখন বড় শট খুব প্রয়োজন, তখনও নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন আরিফুল। অবশেষে সঠিক বোলার পেয়ে চড়াও হন তার উপর। চার ছক্কায় অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ওভারে মেলান ২২ রানের সমীকরণ। ৩৪ বলে তার ৪৮ রানের ইনিংসে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শুভ সূচনা করেছে জেমকন খুলনা।
প্রথম ২১ বলে আরিফুল করেন কেবল ১২ রান, ছিল না কোনো বাউন্ডারি। তাসকিন আহমেদের এক ওভারে দুটি চার মারার পর আবার নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। ভালো করেই জানতেন, একটি ওভার স্পিনারদের দিয়ে করাতে হবে বরিশালের। যেন সেই ওভারের জন্যই প্রস্তুত ছিলেন আরিফুল।
মিরাজ শেষ ওভারটি করার আগে আরিফুলের রান ছিল ২৯ বলে ২৪। শেষ ওভারে সব দায়িত্ব যেন তুলে নিলেন নিজের কাঁধে। মিরাজকে দুই ছক্কা হাঁকানোর পর সুযোগ ছিল সিঙ্গেল নেওয়ার। ননস্ট্রাইকার শহিদুল ইসলামকে ফিরিয়ে দিয়ে পরের দুই বলে আবার অফ স্পিনারকে ওড়ান ছক্কায়। বরিশালের মুঠো থেকে ছিনিয়ে নেন জয়।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জানালেন, দলকে জেতানোর চেষ্টা থেকেই খেলেছেন এমন ইনিংস।
“দলের যতটুকু দরকার ছিল, আমার সাধ্য দিয়ে সেভাবেই চেষ্টা করেছি। সফল হয়েছি, এই আরকি।”
কাগজে-কলমে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে শক্তিশালী দলের একটি খুলনা। আরিফুল জানালেন, এই হিসেব ভাবনাতেও রাখছেন না তারা। জানেন, এমনি এমনি আসবে না কোনো জয়। নিজেদের মেলে ধরেই জিততে হবে তাদের।
“কাগজে-কলমে হয়তো আমরা ভালো দল। কিন্তু প্রতিটা ম্যাচ আমাদের খেলেই জিততে হবে। নিজেদের আগেই ভালো দল মেনে নিয়ে ক্রিকেট খেলা হয় না। আজ এমন পরিস্থিতি এসেছে, আবার কিছু দিন এমন হবে যে আমরা ভালোভাবেই জিতে গেছি। ক্রিকেট খেলাটাই এমন, আমাদের এভাবেই খেলতে হবে।”