নিজের খেলোয়াড়ী জীবনে ভারতের পেস প্রতিকূল উইকেটেও বছরের পর বছর দুর্দান্ত সুইং বোলিং উপহার দিয়েছেন কপিল। একসময় তিনি ছিলেন টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৪৩৪)। সুইং বোলিংয়ের গুরুত্ব তিনি জানেন, এটির প্রতি আলাদা মমতাও থাকার কথা।
কিন্তু এই টি-টোয়েন্টির যুগে, ওয়ানডেতেও মারকাটারি ক্রিকেটের এই সময়ে উইকেট শিকারি বোলিংয়ের চেয়ে রান বাঁচানোর দিকেই অনেক বোলারের প্রবণতা বেশি। সুইংয়ের শিল্প শেখার ঝোঁক কমছে ক্রমেই। একটি অনলাইন অনুষ্ঠানে কপিল এখানেই বললেন হতাশার কথা। তুলে ধরলেন ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পেসোরদের উদাহরণ ।
“ (এই সময়ের) ফাস্ট বোলারদের নিয়ে আমি খুশি নই। ক্রস সিমে কখনও ফাস্ট বোলিং হয় না। বোলারদের বুঝতে হবে, গতি মূল ব্যাপার নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো সুইং। তাদের শেখা উচিত। কিন্তু এই শিল্প থেকে তারা দূরে সরে যাচ্ছে।”
“ ওয়াসিম, বোথাম, উইলিস, হ্যাডলি, ম্যাকগ্রার দিকে তাকান, কত ভালো ছিল তারা। সুইং বোলিংয়ের শিল্প ফিরে আসা উচিত। নাকল বল বা অন্যান্য বৈচিত্র শেখায় কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সুইং করাতে না জানলে সবই বৃথা।”
এবারের আইপিএলের প্রসঙ্গও টানলেন কপিল। গতিময় ও বৈচিত্রের পসরা মেলে ধরা পেসারের কমতি ছিল না এই আসরে। কিন্তু কপিলের মনে ধরেছে আলোচনায় কম থাকা দুই ভারতীয় পেসারের বোলিং।
“ আইপিএলে অনেকে বুঝেছে, গতির চেয়ে সুইং গুরুত্বপূর্ণ। সন্দিপ (শর্মা) ১২০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছে, কিন্তু সামলানো কঠিন ছিল, কারণ সে বল মুভ করিয়েছে। এবার আইপিএলে আমার নায়ক টি নটরাজন। এই তরুণ ভয়ডরহীন এবং অনেক ইয়র্কার করেছে।”