দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গত সোমবার রান তাড়ায় নামা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ঘটনা সেটি। দিল্লির অশ্বিন ওভারের চতুর্থ বলটি করার আগেই লাইন ছেড়ে এগিয়ে যান নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান ফিঞ্চ। বল না করে থেমে যান অশ্বিন, তার মুখে ছিল হতাশার হাসি।
বোলার বল করার আগে নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যানের লাইন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াকে প্রতারণার শামিল বলে মনে করেন পন্টিং। ব্যাটসম্যানের ‘প্রতারণা’ ধরা পড়লে ব্যাটিং দলের রান কেটে নেওয়ার নিয়ম করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। সেটি নিয়ে আইসিসির ক্রিকেট কমিটির সঙ্গে পন্টিংয়ের আলোচনা চলছে বলে বুধবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানালেন অশ্বিন।
“আমি টুইটে পন্টিংকে ট্যাগ করেছিলাম। পরে তিনি আমাকে বলেন, ‘সে (অ্যারন ফিঞ্চ) অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল, আমি নিজেও চেয়েছিলাম তুমি তাকে রানআউট কর। ভুল মানে ভুলই’। রান পেনাল্টির জন্য তিনি আইসিসি কমিটির সঙ্গে কথা বলছেন। নিজের প্রতিশ্রুতি রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।”
মানকাড আউট করতে কোনো দ্বিধা নেই অশ্বিনের। মাঠের বাইরেও এই আউটের পক্ষে বরাবরই সোচ্চার তিনি। ফিঞ্চকে এবার বাঁচিয়ে দিলেও এই স্পিনার পরে বলেন, এটিই তার এ বছরের প্রথম ও শেষ সতর্কবার্তা।
তবে অশ্বিন এমন সুযোগ হাতছাড়া করায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। ফিঞ্চকে আউট না করার পেছনের কারণ তুলে ধরলেন ভারতীয় এই অফ স্পিনার।
“যখন আমরা খেলছিলাম, মাঠের এক পাশ ছিল বেশ বড়। আমি জানতাম, কেউ একজন পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করবে, কারণ বাউন্ডারি মারা সহজ ছিল না। তাদের এমন খেলোয়াড় রয়েছে যারা এক রানকে দুই রান বানাতে চাইবে। তাই আমি জানতাম এটা হবে।”
“বল করার জন্য লাফ দিতে যাব, ওই মুহূর্তে একটি সোনালি হেলমেট আমাকে অতিক্রম করে গেল এবং নিজের মতোই এগোতে থাকল। আমি থেমে গেলাম এবং সেকেন্ডের জন্য ভাবলাম, আউট করব কি করব না। কিন্তু সে (অ্যারন ফিঞ্চ) তখনও বাইরে ছিল এবং কেবল আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। ক্রিজে ফিরে আসলো না।”
“কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সময় থেকে সে আমার ভালো বন্ধু। খুবই দারুণ একজন যার সঙ্গে আমি অনেক সন্ধ্যা বসে সময় পার করেছি। তাই আমি শেষ পর্যন্ত সতর্ক করার পথ বেছে নিয়েছি। আমার মনে হয়, শাস্তি কঠোর হওয়া উচিত। এমন এগিয়ে যাওয়ার জন্য ১০ রান কাটা দরকার। তাহলে কোনো ব্যাটসম্যানই এভাবে বেরিয়ে যাবে না। এভাবে আউট করা কোনো স্কিল নয়, তবে বোলারদের হাতে আর কোনো উপায়ও নেই।”