শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ৫০ বলে ১০৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন মায়াঙ্ক। ১০ বাউন্ডারির পাশে তার ইনিংসে ছক্কা ৭টি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর দিল্লির বিপক্ষে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তিনি থেমেছিলেন ৮৯ রানে।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত হয়েছে দুটি সেঞ্চুরি। দুটিই এলো পাঞ্জাবের দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে আগের ম্যাচে রাহুল করেন অপরাজিত ১৩২।
রাহুল ফর্ম ধরে রেখেছেন এই ম্যাচেও, তবে এবার তিনি ছিলেন সহকারীর ভূমিকায়। পাঞ্জাব অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪ বলে ৬৯।
দ্বিতীয় ওভারে অঙ্কিত রাজপুতকে ছক্কায় উড়িয়ে ডানা মেলেন মায়াঙ্ক। জয়দেব উনাদকাটের করা পরের ওভার থেকে আসে একটি করে চার-ছক্কা। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।
লেগ স্পিনার রাহুল তেওয়াতিয়াকে দুই ছক্কার পর চার মেরে পৌঁছে যান ফিফটির কাছে। আরেক লেগ স্পিনার শ্রেয়াস গোপালকে ছক্কায় উড়িয়ে ২৬ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। সেই ওভারে আসে আরেকটি ছক্কা।
পরে তার বলেই বাউন্ডারিতে ৪৫ বলে পান সেঞ্চুরির দেখা। টি-টোয়েন্টি এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, আইপিএলে প্রথম।
এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি মায়াঙ্ক। টম কারানের নিচু ফুল টস বলে ধরা পড়েন সাঞ্জু স্যামসনের হাতে।
মায়াঙ্কের বিদায়ে থামে রাহুলের সঙ্গে ১৮৩ রানের জুটি। একটুর জন্য আইপিএলের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটির নাগাল পাননি দুজন। গত আসরে ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ১৮৫ রানের জুটি গড়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিএলে উদ্বোধনী জুটিতে সেটাই সর্বোচ্চ।
এই দুজনের পর নিকোলাস পুরানের ৮ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে পাঞ্জাব ২০ ওভারে তুলেছে ২ উইকেটে ২২৩ রান।