গত সাড়ে তিন বছর ধরে শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটই খেলছেন স্যামি। এই সংস্করণে বিদায় মানেই তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ।
২০ ওভারের ক্রিকেটেও এখন খুব ভালো করছেন না। সেন্ট লুসিয়া জুকসের হয়ে সিপিএলের চলতি আসরে ৯ ইনিংসে রান করেছেন কেবল ৩৪, স্ট্রাইক রেট ৮০-এর নিচে। বল করেছেন মাত্র দুই ওভার, ১৯ রানে উইকেট একটি।
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে অনুজ্জ্বল হলেও বরাবরের মতোই উজ্জ্বল তিনি নেতৃত্বে। তার অধিনায়কত্বে সিপিএলে দ্বিতীয়বারের মতো প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে জুকস। পাঁচবার ফাইনাল খেলা গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে মঙ্গলবার হারালে প্রথমবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলবে স্যামির জন্মভূমির দলটি।
সেমি-ফাইনালের আগে স্যামি জানালেন তার ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এবারের সিপিএল হচ্ছে দর্শকশূন্য মাঠে। দর্শক থাকলে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামেই বিদায়ের ঘোষণা দিতেন, বললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
“আমি অনেকটাই নিশ্চিত যে, এই বছর যদি আমরা দর্শকের সামনে খেলতাম এবং আমি যদি সেন্ট লুসিয়ায় ঘরের দর্শকদের সামনে খেলতে পারতাম, সম্ভবত ঘোষণা (শেষের) করেই দিতাম, যেটা আমি সব সময় বলে আসছি। আমার হাতে এখনও কিছু সময় আছে এবং সেন্ট লুসিয়ায় আমার ভক্তদের সামনে ঘরের মাঠ ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ক্যারিয়ার শেষ করতে সত্যিই ভালো লাগবে।”
“তবে সব কিছু নির্ভর করছে, এরপর আমি কতটা কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা যদি শিরোপা জিতি, অবশ্যই অবসর নিয়ে চিন্তা করব। জানি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আরও খেলার চেয়ে অবসরের বেশি কাছে আমি-এটাই সত্যি।”
২০০৭ সালে টেস্ট অভিষেকের সাত বছর পরই লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন স্যামি। ওয়ানডে থেকে অবসর না নিলেও জাতীয় দলের বাইরে ২০১৫ সাল থেকেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিন বছর আগে। তবে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলো এতদিন খেলে যাচ্ছিলেন তিনি।
গত মার্চে পাকিস্তান সুপার লিগের মাঝপথে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে কোচের দায়িত্ব নেন স্যামি। ভবিষ্যতের পানে হাঁটার সূচনা হয়তো সেখানেই।