জীবাণুমুক্ত পরিবেশে মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে চলেছে ইসিবি। আগামী জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করতে চায় তারা। দুটি বা তিনটি ভেন্যুতে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে সব ক্রিকেটারসহ মোট ১৮০ থেকে ২৫০ জন মানুষকে মাঠে রেখে ম্যাচ পরিচালনার পরিকল্পনা তাদের।
কিন্তু ভারতীয় কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড় সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন, টেস্টের মাঝপথে যদি কেউ আক্রান্ত হন, তখন কী ব্যবস্থা রাখা হবে। এই প্রশ্ন বা কৌতূহল আরও অনেকের। আইসিসি ক্রিকেট কমিটি কিছুদিন আগে সুপারিশ করেছে, একজন আক্রান্ত হলেও ম্যাচ সেখানেই বাদ রেখে ম্যাচে সম্পৃক্ত সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখতে।
এখানেই আপত্তি ইংল্যান্ডের। ম্যাচ বাদ হয়ে গেলে তো তাদের এতদিনের পুরো আয়োজনই ভেস্তে! ইসিবির স্পেশাল অপারেশনস ডিরেক্টর ও সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার স্টিভ এলওয়ার্দি বলছেন, তাদের চাওয়া বদলি ক্রিকেটার, যেটিকে বলা হচ্ছে, ‘কোভিড-১৯ বদলি।’
“ আমাদের মেডিকেল টিম এই জায়গাগুলি নিয়ে কাজ করছে। এটির একটি অংশ নিশ্চিতভাবেই হবে, কেউ পজিটিভি হলে যত দ্রুত সম্ভব তাকে আলাদা করে ফেলা। প্রতিটি ভেন্যুতে আইসোলেশন কক্ষ গড়ে তুলছি আমরা। আক্রান্তকে দ্রুত সেখানে নেওয়া হবে। আমি জানি, আইসিসির দিক থেকে তারা এখনও কোভিড-১৯ বদলির সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে, বিশেষ করে প্লেয়িং কন্ডিশনের পরিবর্তন আনতে হবে (বদলি রাখতে হলে), সেখানে তাই অনেকের একমত হওয়ার প্রয়োজন আছে।”
“ কোভিড-১৯ বদলি নিয়ে আলোচনা চলছে। টেস্ট ম্যাচ বা ওয়ানডে, সকালে পরীক্ষা করানো হবে ক্রিকেটারদের, কেউ উতরে গেলে মাঠে নামবে, কেউ পজিটিভ হলে সরিয়ে ফেলা হবে। এটি (বদলি) মূলত টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই বিবেচিত হবে। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই এটি নিয়ম করা হবে।”