পায়ের চার আঙুল হারিয়েও টেস্ট খেলেছিলেন যিনি

বিস্তীর্ণ নীল জলরাশি। কাঁচের মতো স্বচ্ছ পানি। ক্যারিবিয়ান সাগর যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রতিনিয়ত। বারবাডোজ পৌঁছে আর দেরি করেননি ফ্রেড টিটমাস। সতীর্থদের সঙ্গে দাপাদাপি করছিলেন সাগরে। হঠাৎই বিপত্তি। মোটরবোটের সঙ্গে লেগে কেটে গেল পায়ের চারটি আঙুল। তুঙ্গে থাকা ক্যারিয়ার তখন সেখানেই শেষ হওয়ার শঙ্কা। কিন্তু আবার তিনি ফিরেছিলেন মাঠে, খেলেছিলেন টেস্টও। ক্রিকেটে প্রতিবন্ধকতা জয়ের রোমাঞ্চকর এক গল্প টিটমাসের ওই ফিরে আসা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2020, 03:00 AM
Updated : 28 April 2020, 03:00 AM

এমনিতে নানা রেকর্ড আর পরিসংখ্যানও টিটমাসের ক্যারিয়ারের বড় বিজ্ঞাপন। ৫টি ভিন্ন দশকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার বিরল কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। দুই হাজার ৮৩০ উইকেট শিকারের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রান করেছেন ২১ হাজার ৫৮৮। ইংল্যান্ডের হয়ে মূল পরিচয় ছিল অফ স্পিনার, ৫৩ টেস্টে নিয়েছেন ১৫৩ উইকেট। লোয়ার-মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়তেন প্রায়ই। এমনকি ওপেনিংয়ে ও তিন নম্বরেও খেলেছেন দলের প্রয়োজনে।

তবে ওই দুর্ঘটনা জয় করে শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে ফেরার অবিস্মরণীয় আখ্যান রচনা করে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সব সংখ্যা আর রেকর্ডের সীমানা।

দুর্ঘটনার আগে অধ্যাবসায়ের অধ্যায়

ক্রিকেট তীর্থ লর্ডস স্টেডিয়ামের ঠিক পাশেই একটি বাড়িতে ১৯৩২ সালে জন্ম টিটমাসের। স্কুলে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলেছিলেন সমান দাপটে। ফুটবলেও ভবিষ্যৎ ছিল তার দারুণ সম্ভাবনাময়। খেলেছিলেন চেলসির জুনিয়র দলে। পরে ওয়ার্টফোর্ডের সঙ্গে পেশাদারী চুক্তিও হয়েছিল। কিন্তু থিতু হন ক্রিকেটে।

১৬ বছর বয়সে এমসিসি কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেছিলেন ট্রায়ালে ডাকার অনুরোধ জানিয়ে। সাড়া মেলে, তাকে ডাকা হয় ট্রায়ালে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের নজর কাড়েন সেখানেই। মিডলসেক্সের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ১৯৪৯ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে যায় মাত্র ১৬ বছর ২১৩ দিন বয়সে।

সেবার একটি ম্যাচই খেলতে পেরেছিলেন। পরের মৌসুমেই নেন ৫৫ উইকেট। পরের দুই মৌসুমে খুব বেশি খেলতে পারেননি ন্যাশনাল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার কারণে। তবে ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫, টানা তিন মৌসুমে নেন ১০৫, ১১১ ও ১৯১ উইকেট!

১৯৫৫ সালেই পেয়ে যান স্বপ্নের টেস্ট ক্যাপ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক হয় ঘরের মাঠ লর্ডসে। সেই ম্যাচে উইকেট নিতে পারেন কেবল একটি, পরের টেস্টে একটিও নয়। ব্যাট হাতেও পাননি রান। দুই টেস্ট খেলেই তাই বাদ।

ইংল্যান্ড দলে তখন খেলছেন সর্বকালের সেরা অফ স্পিনারদের একজন, জিম লেকার। নিয়মিত খেলছেন বাঁহাতি স্পিনার টনি লক। আরও তিন অফ স্পিনার ডেভিড অ্যালেন, জন মর্টিমর ও রে ইলিংওয়ার্থ ছিলেন জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে। সব মিলিয়ে বাদ পড়ার পর টিটমাসের ফেরা সহজ ছিল না।

তবে টিটমাস তো হাল ছাড়ার পাত্র নন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬২, এই সাত মৌসুমের ছয়টিতেই উইকেট শিকারের সেঞ্চুরি করেন কাউন্টিতে। অন্য মৌসুমে নিয়েছিলেন ৮৭ উইকেট। রানও করছিলেন নিয়মিত।

অবশেষে ১৯৬২ সালে আবার মেলে সুযোগ। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলে খুব ভালো করতে পারেননি। তবে এবার এত দ্রুত তাকে বাদও দেওয়া হয়নি। বছরের শেষ দিকে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ সফরে। সেই ১৯৬২-৬৩ অ্যাশেজ দিয়েই তিনি জায়গা পাকা করেন দলে। ওই সিরিজে ২১ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা বোলার। ব্যাট হাতে গড় ছিল ৩৬.৪০।

এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পরের প্রায় ৬ বছর তিনিই ছিলেন দলের প্রথম পছন্দের স্পিনার। উপহার দিয়েছেন দারুণ কিছু পারফরম্যান্স। এরপরই সেই দুর্ঘটনা।

নীল জলরাশিতে টিটমাসের রক্ত

১৯৬৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। টিটমাস তখন দলের সহ-অধিনায়ক, কলিন কাউড্রে অধিনায়ক। সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ছিল বারবাডোজে। স্যান্ডি লেন হোটেলে চেক ইন করেই কয়েকজন সতীর্থের সঙ্গে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন টিটমাস। কয়েকটি মোটরবোট ঘোরাফেরা করছিল আশপাশে।

সাঁতার কাটার ফাঁকে এক পর্যায়ে একটি বোটের কাছে গিয়ে ওই ক্রিকেটাররা বোট ধরে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলেন আর গল্প করছিলেন। ওই বোটের গঠন ছিল একটু আলাদা। প্রপেলার পেছনে নয়, ছিল পাশে। ক্রিকেটাররা কেউই তা জানতেন না।

গল্প করার ফাঁকে টিটমাস হঠাৎ বোটের একটা পাশে ভর দিয়ে বোটে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পিছলে যায় পা, পড়ে যান পানির নিচে থাকা প্রপেলারের ওপর। মুহূর্তের জন্য তার মনে হয়েছিল, পা বুঝি অসাড় হয়ে পড়েছে। পাশে থাকা সতীর্থদের বললেন, ‘মনে হয়, পা কেটে গেছে।”

আঘাত কতটা গুরুতর, সেটা বোঝা গেল, পানি থেকে পা তোলার পর। পায়ের দুটি আঙুল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন, আর দুটি স্রেফ ঝুলছিল চামড়ার সঙ্গে।

অধিনায়ক কাউড্রে ও সতীর্থ রবিন হবস ধরাধরি করে টিটমাসকে নিয়ে গেলেন সৈকতে। তোয়ালে জড়িয়ে রাখা হলো পায়ে। কাছেই ছিলেন ইংলিশ গ্রেট ডেনিস কম্পটন, ওই সফর কাভার করছিলেন সংবাদকর্মী হিসেবে। ধারাভাষ্যকার ব্রায়ান জনস্টন ও কম্পটন ছুটে এসে একটি চেয়ারে টিটমাসকে বসিয়ে তুলে নিয়ে গাড়ীতে বসালেন হাসপাতালে নেওয়ার জন্য।

বারবাডোজের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে যেতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু স্থানীয় এক তরুণ তাদেরকে জানালেন, খুব কাছেই সেন্ট জোসেফ রোমান ক্যাথলিক হাসপাতাল। হাসপাতালটি ছোট হলেও খুব বড় একজন ডাক্তার সেখানে আছেন।

সেখানেই নিয়ে যাওয়া হলো টিটমাসকে। দেখা গেল, সেই হাসপাতালে আছেন কানাডার বিখ্যাত শল্যবিদ হোমার রজার্স। আইস হকি খেলোয়াড়দের পায়ের চোট নিয়ে কাজ করায় তার খ্যাতি দুনিয়াজোড়া। বারবাডোজেও তিনি সময় কাটাতেন। টিটমাসের সৌভাগ্য, রজার্স তখন সেখানেই!

পায়ের যন্ত্রণার চেয়েও তখন টিটমাসের বেশি ব্যথা মনে, ক্যারিয়ার বুঝি শেষ! কিন্তু ডাক্তার রজার্স চোট দেখেই বললেন, “চিন্তার কিছু নেই, ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমি অন্তত ডজনখানেক আইস হকি খেলোয়াড় দেখেছি, পায়ের আঙুল হারিয়েও খেলায় ফিরেছে।”

চিকিৎসকের কথায় মনে কিছুটা বল ফিরে এলো টিটমাসের। চামড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকা আঙুল দুটিও ফেলে দেওয়া হলো। টিকে থাকল কেবল বুড়ো আঙুল। ডাক্তার বললেন, “তোমার ভাগ্য ভালো যে, বুড়ো আঙুল কাটেনি, কেবল ছড়ে গেছে। ওটাও বিচ্ছিন্ন হলে পায়ের ব্যালান্স পুরোই নষ্ট হয়ে যেত।”

ডাক্তার জানালেন, কয়েক সপ্তাহেই সেরে উঠবে পায়ের ক্ষত। টিটমাস থেকে গেলেন হাসপাতালেই। চার দিন পর একটু একটু করে হাঁটাও শুরু হলো। পায়ের চেয়ে তখন তার বড় দুর্ভাবনা, হাসপাতালের সেবিকারা তাকে ধূমপান করতে দিচ্ছিলেন না!

কদিন পর ব্যথা ছাড়াই দৌড়াতে শুরু করলেন টিটমাস। সপ্তাহ দুয়েক ক্যারিবিয়ানে থেকে ফিরলেন দেশে।

দুর্ঘটনার অনেকদিন পর জানা গিয়েছিল, সেই মোটরবোটটি চালাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক কলিন কাউড্রের স্ত্রী পেনি কাউড্রে! টিটমাস পরে মজা করে বলেছিলেন, “পেনির কোনো দোষ ছিল না দুর্ঘটনায়। তারপরও কলিন খুব সতর্ক ছিল, কোনোভাবে যেন স্ত্রীর কথা মিডিয়ায় না আসে। ইংল্যান্ড অধিনায়কের স্ত্রী দলের সহ-অধিনায়কের আঙুল কেটে ফেলেছে, খুব রসালো গল্প হতো!”

পরে জাতীয় দলের ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন টিটমাস। মাত্র ৯৮ পাউন্ড! বলার অপেক্ষা রাখে না, টিটমাস তাতে হতাশই হয়েছিলেন, “প্রতি আঙুলের জন্য কেবল ২৫ পাউন্ড…মনে হয়, আমার ক্ষতির উপযুক্ত প্রতিদান নয়!”

ক্রিকেটে ফেরা

সুস্থ হওয়ার পর ব্যালান্স পেতে শুরুতে একটু সমস্যা হয় টিটমাসের। লন্ডনে একটি ব্যালে নাচের স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যালান্সের সমস্যা তিনি কাটিয়ে ওঠেন। এরপর ছিল মাঠে ফেরার চ্যালেঞ্জ।

অনেক মানুষের অনুমান-ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ৮ সপ্তাহ পরই টিটমাস ফিরে আসেন ক্রিকেটে। ম্যাচের ভেন্যু ছিল একটু চমক জাগানিয়া, জার্মানি!

মিডলসেক্সের হয়ে কাউন্টিতে ফেরার আগে তার ফিটনেস পরখ করা প্রয়োজন ছিল। তাই জার্মানিতে ব্রিটিশ আর্মির বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন। পরীক্ষায় পাশ করলেন প্রবল দাপটে, ব্যাট হাতে খেললেন ৬৩ রানের ইনিংস। বল হাতে নিলেন ৪৪ রানে ৬ উইকেট।

কাউন্টিতেও ফিরতে তাই সময় লাগল না। মাঠে নেমে দেখিয়ে দিলেন, চার আঙুল হারালেও হারায়নি ধার। ওই মৌসুমেই নিলেন ১১১ উইকেট, রান করলেন ৯২৪!

শুরুর দিকে তিনি রাবারের বুট পড়ে নেমেছিলেন, গ্রিপ করার সুবিধার্থে। কয়েকটি ম্যাচ খেলার পরই বুঝে যান, আর প্রয়োজন নেই। সাধারণ বুটেই খেলতে থাকেন।

টিটমাসের সেই অবিস্মরণীয় ফেরা দেখে দা টাইমস-এ জন উডকক লিখেছিলেন, “ক্যারিবিয়ানে যখন তাকে সাগর থেকে তুলে আনতে দেখেছিলাম, তার মাঠে ফেরার খুব একটা সম্ভাবনা দেখিনি। কিন্তু ভালো চিকিৎসা, কিছুটা সৌভাগ্য আর অদম্য মানসিকতা মিলিয়ে সে এটা সম্ভব করেছে।”

এবং টেস্টে চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন

কাউন্টিতে নিয়মিতই পারফর্ম করে যেতে থাকলেন টিটমাস। যদিও দুর্ঘটনার পর তার ব্যাটিংয়ের মান পড়ে গিয়েছিল। আগের মতো ধারাবাহিক আর ছিলেন না। তবে বল হাতে যথারীতি ছিলেন ক্ষুরধার। ১৯৭০ ও ১৯৭১ মৌসুমেও নেন একশর বেশি করে উইকেট।

কিন্তু টেস্ট দলে আর সুযোগ মিলছিল না। রে ইলিংওয়ার্থ ততদিনে অফ স্পিনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। ১৯৭৪-৭৫ অ্যাশেজের ইংল্যান্ড দলে বড় চমক হিসেবে জায়গা পেলেন তিনি।

দুর্ঘটনায় চার আঙুল হারানোর প্রায় ৭ বছর পর, ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে আবার টেস্ট খেলতে নামলেন টিটমাস!

খুব ভালো করতে পারেননি সেবার। ৪ টেস্ট খেলে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ব্যাট হাতে অবশ্য সাহসী কিছু ইনিংস ছিল। অস্ট্রেলিয়ার পর নিউ জিল্যান্ড সফরে গিয়ে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতাও হয়ে যায়। বৃষ্টিবিঘ্নিত অভিষেক ওয়ানডেতে বল করতে পারেননি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নেন ৩ উইকেট।

জাতীয় দলে আর সুযোগ পাননি। কাউন্টিতে খেলছিলেন। কিছুদিন খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। ১৯৭৬ সাল ছিল কাউন্টিতে তার শেষ পূর্ণ মৌসুম। এরপর সারের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৭৮ সালে কোচ থাকার সময় সারের হয়ে কাউন্টিতে একটি ম্যাচও খেলে ফেলেন!

এরপর ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে আবার মিডলসেক্সের হয়ে খেলেন কয়েকটি ম্যাচ। ১৯৮০ মৌসুমের পর অবশ্য মনে হচ্ছিল, তার খেলোয়াড়ি জীবনের অবশেষে সমাপ্তি। কিন্তু শেষ হয়েও যেন হয় না শেষ!

১৯৮২ সালে নাটকীয়ভাবে আবার খেলে ফেলেন একটি ম্যাচ। লর্ডসে গিয়েছিলেন মিডলসেক্স ও সারের ম্যাচ দেখতে। উইকেট স্পিন সহায়ক দেখে মিডলসেক্স অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ারলি ভাবলেন, আরও একজন বাড়তি স্পিনার নিয়ে খেললে খারাপ হয় না। টিটমাসকে অনুরোধ করলেন ম্যাচটি খেলতে। ব্যস, বুট খুঁজে আনা হলো। চায়ের কাপ রেখে টিটমাস নেমে গেলেন খেলতে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে দলের দারুণ জয়ে অবদানও রাখলেন। সেটিই তার শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। বয়স তখন ৫০ হতে চলেছে।

খেলা ছাড়ার পরও লর্ডসে তাকে দেখা গেছে নিয়মিত। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ছিলেন ইংল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচক। দুটি আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে তার। দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০১১ সালে মারা যান ৭৮ বছর বয়সে।

তবে ক্রিকেটে তিনি অমর, শুধু রান আর উইকেটের সংখ্যায় নয়, অদম্য মানসিকতার একটি প্রতীক হিসেবে!