যখন চিৎকার করে কেঁদেছিলেন কোহলি

ব্যাটিং শৈলী আর দক্ষতায় তো বটেই, মানসিক দৃঢ়তার দিক থেকেও এখন ক্রিকেট বিশ্বে আদর্শ বিরাট কোহলি। অথচ একটা সময় ছিল, দলে সুযোগ না পেয়ে সারারাত কেঁদেছিলেন তিনি! অনলাইন সেশনে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগাতে নিজের জীবনের সেই গল্প বলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2020, 06:46 AM
Updated : 22 April 2020, 08:43 AM

করোনাভাইরাসের সঙ্কটের এই ঘরবন্দি সময়ে অনলাইন সেশনে বলিউড তারকা স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন কোহলি। সেখানেই শুনিয়েছেন, পেশাদার ক্রিকেট জীবনের শুরুর দিকে মন ভেঙে যাওয়ার পর কীভাবে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন।

“রাজ্য দলে প্রথমবার যখন প্রত্যাখ্যাত হলাম, মনে আছে অনেক রাত পর্যন্ত আমি শুধু কেঁদেছিলাম। রাত ৩টা পর্যন্ত আমি চিৎকার করে কেঁদেছি। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। কারণ আমি রান করছিলাম, সবকিছুই নিখুঁতভাবে করছিলাম। পারফর্ম করেই ওই পর্যায়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু সুযোগ দেওয়া হলো না।”

“আমার কোচকে আমি টানা দুই ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞেস করে গেছি, ‘কেন সুযোগ পেলাম না?’ আমি কোনো যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু যদি প্রবল অনুরাগ আর নিবেদন থাকে, নিজের ভেতর আবার ঠিকই প্রেরণা খুঁজে পাওয়া যায়।”

সেবার দমে না গিয়ে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েন কোহলি। ২০০৬ সালে জায়গা করে নেন দিল্লি দলে। দুই বছর পরই সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় দলে। এখন তিনি নিজেকে তুলে নিয়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের উচ্চতায়।

আনুশকা শর্মার সঙ্গে তার দেখা ২০১৩ সালে। পরিচয় থেকে প্রেম। ২০১৭ সালে বিয়ে। দুই জগতের দুই বড় তারকার এই সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হয়েছে অনেক। কোহলি জানালেন, বলিউড তারকা স্ত্রীর কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখেছেন তিনি, যা সাহায্য করছে তার ক্রিকেটে।

“সত্যি বলতে, আনুশকা ও আমি পরস্পরের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর ধৈর্য ব্যাপারটি খুব ভালোভাবে শিখেছি। আগে আমি খুব অধৈর্য ছিলাম। ওর ব্যক্তিত্বের দিকে তাকিয়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ওর স্থৈর্য সত্যিই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে।”

“অনেক সময়ই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের অহংবোধ হজম করে ফেলতে হয়, প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে পথ খোঁজার টেষ্টা করতে হয়। তাহলে উপায় মিলবেই। আমি ওকে এটিই করতে দেখেছি এবং ওকে দেখে শিখেছি। কখনও কখনও টেস্ট ম্যাচে এমন হবে, দুই ঘণ্টা ক্রিজ আঁকড়ে রেখে ২০ রান করতে হবে। দলের যখন যা প্রয়োজন, তখন তা করতে হবে।”