'লাহোর হামলার মতোই পাকিস্তানের ক্ষতি করেছে ফিক্সিং'

দুর্নীতির বিরুদ্ধে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কখনও কঠোর অবস্থান নেয়নি, অভিযোগ জহির আব্বাসের। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের ক্রিকেট যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, দুর্নীতির কারণেও ক্ষতির পরিমাণ তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয় বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক এই গ্রেট ব্যাটসম্যান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2020, 02:09 PM
Updated : 21 April 2020, 02:25 PM

ফিক্সিংকে ফৌজদারি অপরাধের আওতায় আনতে সরকারকে সম্প্রতি আহ্বান জানায় পিসিবি। তারই প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন সাবেক এই অধিনায়ক।

“পাকিস্তান বোর্ডের এই ঠিক কাজটাই করতে হবে। কারণ অনেক দিন ধরে দুর্নীতির বিষয়গুলো আমরা হালকাভাবে সামলেছি। এর ফলে কেলেঙ্কারিগুলো আরও বেড়ে গেছে। যা আমাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে নষ্ট করেছে এবং আমাদের ক্রিকেটের অগ্রগতিতেও আঘাত হেনেছে।”

“শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল। ওই কারণে আমরা হোম সিরিজগুলোও দেশের বাইরে খেলতে বাধ্য হয়েছিলাম। বছরের পর বছর এই দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলোও এর চেয়ে কোনো অংশে কম ক্ষতি করছে না আমাদের ক্রিকেটকে।”
পিসিবির উচিত ছিল আরও আগে ফিক্সিংকে ফৌজদারি মামলার আওতায় আনার ব্যবস্থা করা। সেক্ষেত্রে সাম্প্রতিক স্পট-ফিক্সিংয়ের ঘটনাগুলো ঘটত না বলে মনে করেন ‘এশিয়ান ব্রাডম্যান’ খ্যাত আব্বাস।
“শেষ পর্যন্ত এর ভুক্তভোগী হতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটকেই, কারণ দেশটি ভালো ক্রিকেটারদের হারিয়েছে। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এর মাধ্যমে আমরা ক্রিকেটারদের ভুল বার্তা দিয়েছি। এমনকি তাদেরকেও ভুল বার্তা দিয়েছি, যারা ক্রিকেটারদের দুর্নীতি করতে প্রলুব্ধ ও প্ররোচিত করে।”

“আমি বলব, কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। কারণ একজন ক্রিকেটার এভাবে তার দেশ, দল ও খেলাটির প্রতি সবচেয়ে খারাপ কাজটা করতে পারে।”

এই খেলায় সঠিক পথে আয়ের এত পথ থাকার পরও ক্রিকেটাররা কেন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তা আব্বাসের বোধগম্য নয়।

“ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট, জাতীয় দল, টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় খেলে উপার্জন করতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন এনডোর্সমেন্ট ও স্পন্সরশিপ থেকেও আয়ের অনেক পথ রয়েছে। তাই দুর্নীতির জালে আটকে পড়া ক্রিকেটারদের সমস্যাটা আসলে কী তা বোঝা দায়।”

একই সঙ্গে বাজিকরদের মোটেও ছাড় দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন ৭২ বছর বয়সী আব্বাস।