পিঠের চোট সাইফকে ভুগিয়েছেন দীর্ঘদিন। ক্যারিয়ারঘাতিও হতে পারত সেই চোট। তাই সময় নিয়ে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পুনর্বাসনের পর অবশেষে খেলার মতো অবস্থায় ফিরেছেন। জায়গা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশ দলে।
বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ খেলেছেন গত ২১ সেপ্টেম্বর, ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এরপর চোটের সঙ্গে লড়াই। পুনর্বাসনের ক্লান্তিকর ও কষ্টকর প্রক্রিয়া। সতীর্থরা খেলতেন, তিনি অসহায় তাকিয়ে থাকতেন। কখনও টিভি পর্দায়, কখনও গ্যালারি থেকে। পুনর্বাসনের নানা ধাপ পেরিয়ে অবশেষে দুই সপ্তাহ আগে ফিরেছেন মাঠে। কক্সবাজারে খেলেছেন বিসিএলের ম্যাচ।
পারফরম্যান্স অবশ্য খুব ভালো ছিল না। ব্যাটিংয়ে রান পাননি সেভাবে, বোলিংয়ে পাননি উইকেট। তবে দুই ইনিংসে বোলিং করেছেন ২০ ওভার। নির্বাচকদের সেটিই দেখার ছিল। ফিটনেস নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ফেরানো হয়েছে দলে।
ওয়ানডে সিরিজের জন্য সিলেট যাওয়ার আগে সাইফ বললেন, শতভাগ দিয়েই খেলতে পারবেন বলে তার আশা।
“সম্পূর্ণ ছাড়পত্র পেয়েছি মেডিকেল টিম থেকে। এখন আমার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বিসিএল খেলেছিলাম, সেখানে একটু বাঁধাধরা নিয়ম ছিল, এক দিনে সর্বোচ্চ ৮ ওভার। সেটির পর দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে। এখন আশা করি শতভাগ গিয়ে খেলতে পারব।”
৫ মাস বাইরে থাকার সময় মাঠে ফিরতে তার মন কেঁদেছে। তবে ভেঙে পড়েননি। হাল ছাড়েননি। বরং বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখেছেন।
পেস বোলিং অলরাউন্ডারের বাস্তবতাও তিনি জানেন। চোট হানা দিতে পারে আবার যে কোনো সময়। তেমন কিছু হলে লড়াই করতেও তিনি প্রস্তুত।
“চোটের তো কোন নিশ্চয়তা নেই। আমার পিঠের ব্যথা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ঠিক করেছি। এটা তো আসলে বলা যায় না। আর চোট তো আসলে শুধু পিঠে না, হ্যামস্ট্রিং, গ্রোয়েন, হাঁটুতেও হতে পারে। সব জায়গায় হতে পারে।”
“গত পাঁচ ছয় মাস যা করে এসেছি, সেগুলো করলে হয়তো এড়ানো যাবে। তবে কখন চোট হবে সেটা কিন্তু বলা কঠিন। ফিল্ডিং করতে গেলেও হয়ে যেতে পারে।”
চোটের অধ্যায় ভুলে আপাতত সাইফ তাকিয়ে সামনে। নিজের লক্ষ্যের চেয়ে বড় চাওয়া দলের জয়। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে চান জিম্বাবুয়েকে।
“তুলনামূলকভাবে আমরা জিম্বাবুয়ের থেকে অনেক এগিয়ে। মাঠের পারফরম্যান্সের দিক থেকে, টেস্টে ভালো করেছি। ওয়ানডেতেও শেষ কয়েকবারের দেখায় হোয়াইটওয়াশ করেছি। আমরা আশাবাদী। যদিও ক্রিকেট খেলা, কিছুই বলা যায় না।”