৩ উইকেটে ৩৪২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। আগের সেরা ১২৭ ছাড়িয়ে ১৪৩ রানে ব্যাট করছেন বাবর আজম। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে ১৩৭ রানের জুটি গড়া আসাদ শফিক ব্যাট করছেন ৬০ রানে।
৭ উইকেট হাতে নিয়ে ১০৯ রানে এগিয়ে আছে পাকিস্তান।
দিনের শেষটা বাংলাদেশের জন্য হতাশায় মোড়া। তবে শুরুটা হয়েছিল আশা দিয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই আবিদ আলিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ চৌধুরী। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওপেনার খুলতে পারেননি রানের খাতা।
ইবাদত হোসেন ঘণ্টা প্রতি প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করছিলেন। আবু জায়েদের ছোট ছোট সুইং ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিচ্ছিল। দ্বিতীয় ঘণ্টার শুরু থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে দ্রুত এগিয়ে যায় পাকিস্তান।
এক প্রান্তে টানা বোলিং করে গেছেন তাইজুল ইসলাম। আরেক প্রান্তে চাপ ধরে রাখতে পারেননি পেসাররা। আজহার আলিকে বিদায় করে ৯১ রানের জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ।
শুরুতে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন বাবর। একের পর এক ডট খেলা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান চাপ সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বড় শটে। তাইজুলের বলে মিড অফে কিছুটা সরে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি ইবাদত। এর মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ।
বিস্ময় জাগিয়ে দলে আসা রুবেল হোসেন ঢুকে গেছেন একাদশে। একটু খরুচে বোলিং করলেও তিনি তৈরি করেছিলেন একটি সুযোগ। ব্যক্তিগত ৮৬ রানে স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ায় কিপারকে ক্যাচ দেন মাসুদ। কিন্তু সফরকারীদের কেউ বুঝতেই পারেননি ব্যাটের কানা ছুঁয়ে এসেছে বল!
সেটাই দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের শেষ সাফল্য। তৃতীয় সেশন কোনো ক্ষতি ছাড়াই কাটিয়ে দেন বাবর ও শফিক। জীবন পাওয়ার পর থেকে দারুণ খেলছেন বাবর। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন শফিক।
বোলারদের চেষ্টার কমতি ছিল না। ফিল্ডারদের কাছে আরেকটু বেশি সহযোগিতা পেলে চিত্রটা হয়তো অন্য রকম হতে পারতো। তবে তাদের দারুণ চেষ্টার পরও দ্বিতীয় দিন শেষে শতরানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার মুমিনুলের দলের সামনে অপেক্ষায় আরেকটি লম্বা দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৩৩
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৮৭.৫ ওভারে ৩৪২/৩ (মাসুদ ১০০, আবিদ ০, আজহার ৩৪, বাবর ১৪৩*, শফিক ৬০*; ইবাদত ১৪.৫-২-৭৮-০, আবু জায়েদ ২০-২-৬৬-২, রুবেল ১৭-৩-৭৭-০, তাইজুল ৩৪-৫-১১১-১, মাহমুদউল্লাহ ২-০-৬-০)