জোহানেসবার্গ টেস্টে হেনড্রিকসের দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৪৮ রানে। প্রথম ইনিংসে তাদের লিড ছিল ২১৭ রানের। শেষ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য তাই ৪৬৬ রান।
ম্যাচের বাকি এখনও দুই দিন। তবে জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে অভাবনীয় কিছু। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ইংলিশদের সিরিজ জয় তাই এখন বলা যায় কেবল সময়ের ব্যাপার।
হেনড্রিকসের আগে আরও একজন পান ৫ উইকেট। আগের দিনের ৩ উইকেটের সঙ্গে মার্ক উড যোগ করেন আরও ২ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার এই ইংলিশ পেসার পেলেন ৫ উইকেটের স্বাদ।
৬ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে রোববার ম্যাচের তৃতীয় দিন শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ চারে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন কুইন্টন ডি কক। লোয়ার অর্ডারে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস করেন ৭ চারে ৩৭। অন্যদের ব্যর্থতায় ফলোঅন এড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
ইংল্যান্ড অবশ্য ফলোঅন করায়নি। ২১৭ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে তারা। জ্যাক ক্রলি ও ডমিনিক সিবলি উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এনে দেন ৫৬ রানের জুটি।
৪৪ রান করা সিবলিকে ফিরিয়ে শিকার শুরু করেন হেনড্রিকস। মিডল অর্ডারে বেন স্টোকস যখন এগোচ্ছিলেন ওয়ানডের গতিতে (২৪ বলে ২৮), তাকেও ফেরান এই বাঁহাতি পেসার। আটে নেমে ২৯ বলে ৩৫ রান করা স্যাম কারানও হেনড্রিকসের শিকার।
জো রুট টিকে ছিলেন এক প্রান্তে। ইংলিশ অধিনায়ককে ৫৮ রানে ফিরিয়েই ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ করেন হেনড্রিকস, পূর্ণ করেন নিজের ৫ উইকেট।
ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে ভার্নন ফিল্যান্ডার কেবল ৯ বল করেই মাঠ ছাড়েন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪০০
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৬৮.৩ ওভারে ১৮৩ (আগের দিন ৮৮/৬) (ডি কক ৭৬, ফিল্যান্ডার ৪, প্রিটোরিয়াস ৩৭, হেনড্রিকস ৫*, প্যাটারসন ৪; ব্রড ১৪-৩-২৭-০, কারান ১২-৪-২৫-১, ওকস ১৭-৭-৩৮-২, উড ১৪.৩-২-৪৬-৫, স্টোকস ১১-১-৪৭-২)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৬১.৩ ওভারে ২৪৮ (ক্রলি ২৪, সিবলি ৪৪, ডেনলি ৮, রুট ৫৮, স্টোকস ২৮, পোপ ১১, বাটলার ৮, কারান ৩৫, ওকস ০, উড ১৮, ব্রড ১*; ফিল্যান্ডার ১.৩-১-১-০, নরকিয়া ১১-১-৬১-২, প্যাটারসন ১৩.৩-৫-১৮-১, হেনড্রিকস ১৫.৩-২-৬৪-৫, প্রিটোরিয়াস ১৮-২-৮৭-২, মালান ২-০-৫-০)।