সেন্ট জর্জেস পার্কে সোমবার ইনিংস ও ৫৩ রানে জিতেছে জো রুটের দল। দেশের বাইরে ২০১১ সালের পর এই প্রথম ইনিংস ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড।
চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ২-১ ব্যবধানে।
সফরকারীদের আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে পঞ্চম ও শেষ দিনে আরও ১৮৮ রান করতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই সুযোগ দেননি ইংলিশ বোলাররা। প্রথম সেশনেই প্রোটিয়াদের গুটিয়ে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে ইংলিশরা।
দুজনে ১২ ওভারে যোগ করেন ৯৯ রান। ইনিংসে আর কোনো জুটি ৩০ পেরোয়নি। বোলারদের সব প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ, তখন সরাসরি থ্রোয়ে মহারাজকে রান আউট করে দেন স্যাম কারান। ২৩৭ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
১০৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৭১ রান করে ফেরেন মহারাজ।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটির পথে দারুণ এক কীর্তি গড়েন মহারাজ। রুটের এক ওভারে চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় নেন ২৮ রান; টেস্ট ক্রিকেটে যা এক ওভারে সর্বোচ্চ রান। স্পর্শ করেন ব্রায়ান লারা ও জর্জ বেইলির রেকর্ড।
২০০৩-০৪ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকান রবিন পিটারসনের এক ওভারে ২৮ রান নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি। আর অস্ট্রেলিয়ার বেইলি ২০১৩-১৪ মৌসুমে পার্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসনের ওভারে ২৮ রান নিয়ে স্পর্শ করেছিলেন লারাকে।
অভিষেক টেস্টে প্যাটারসন অপরাজিত থাকেন ৪০ বলে ৬ চারে ৩৯ রানে।
নতুন কোচ মার্ক বাউচারসহ কোচিং স্টাফ ও পরিচালনা পরিষদে এক ঝাঁক সাবেক তারকা খেলোয়াড়দের হাত ধরে প্রথম টেস্ট জিতে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছিল ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু টানা দুই পরাজয়ে আবারও জাগছে পুরনো শঙ্কা।
সিরিজ বাঁচাতে আগামী শুক্রবার জোহানেসবার্গে শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে ফাফ দু প্লেসির দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪৯৯/৯ ইনিংস ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২০৯
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (ফলোঅন) ৮৮.৫ ওভারে ২৩৭ (আগের দিন ১০২/৬) (মালান ১২, এলগার ১৫, হামজা ২, দু প্লেসি ৩৬, ফন ডার ডাসেন ১০, ডি কক ৩, ফিল্যান্ডার ১৩, মহারাজ ৭১, রাবাদা ১৬, নরকিয়া ৫, প্যাটারসন ৩৯; ব্রড ১০-৫-১৪-১, কারান ৬-০-৪৬-০, উড ১৬.৫-৬-৩২-৩, বেস ২২-১১-৩৬-১, স্টোকস ৫-২-৯-০, রুট ২৯-১৩-৮৭-৪)
ফল: ইংল্যান্ড ইনিংস ও ৫৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: অলি পোপ
সিরিজ: চার ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে