রংপুরকে ‘বিদায়’ করে শেষ চারে ঢাকা

সাদামাটা ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি গড়তে পারেনি রংপুর রেঞ্জার্সের ব্যাটসম্যানরা। তবে তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের চেয়ে ঢাকা প্লাটুনের বোলারদের বোলিং হলো আরও ভালো। সম্মিলিত অবদানে রংপুরকে গুঁড়িয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2020, 02:27 PM
Updated : 8 Jan 2020, 04:22 PM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬১ রানে জিতেছে ঢাকা। ১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৫ ওভার ৩ বলে ৮৩ রানে গুটিয়ে গেছে রংপুর। চলতি আসরে এর চেয়ে কম রান আছে কেবল একটি। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে রংপুরেরই ৬৮।

১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার সফলতম বোলার অফ স্পিনার মেহেদি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান, মাশরাফি ও ফাহিম আশরাফ। তাদের দারুণ বোলিংয়ে খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের পর শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে রংপুর।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। লুইস গ্রেগোরির বলে কট বিহাইন্ডের সফল রিভিউ নিয়ে এনামুল হককে ফেরায় রংপুর। মেহেদিকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ নবি। আফগান অফস্পিনিং অলরাউন্ডার পরে বোল্ড করেন মুমিনুলকেও।

এর আগে আরিফুল হককে বিদায় করে শিকার ধরেন তাসকিন। পরে টানা দুই বলে তুলে নেন তামিম ইকবাল ও আসিফ আলির উইকেট। লম্বা সময় এক প্রান্ত আগলে রাখা তামিম ৩৮ বলে পাঁচ চারে ৪০ রান করে ধরা পড়েন শেন ওয়াটসনের হাতে।

থিসারাকে ডানা মেলতে দেননি মুস্তাফিজ। শেষ ওভারে তুলে নেন ফাহিম আশরাফ ও মাশরাফি উইকেট। রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা করেন শাদাব। ১৯ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে।

৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৩৪ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। ১৯ উইকেট নিয়ে আসরে উইকেট শিকারিদের চূড়ায় উঠেছেন বাঁহাতি এই পেসার।

প্রথম ওভারে পরপর দুই বলে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও ওয়াটসনকে বিদায় করে রংপুরকে নাড়িয়ে দেন মেহেদি। ওই ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পরের ব্যাটসম্যানরা।

রংপুরের ইনিংসে নেই কোনো জুটি। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল ক্যামেরন দেলপোর্ত। একটু প্রতিরোধের চেষ্টা ছিল আল আমিনের। এই দুই জনের বাইরে দুই অঙ্কে যান কেবল নবি।

বোলিংয়ে যিনি এসেছেন তিনিই উইকেট পেয়েছেন। সহজ রান দেননি কেউই। উইকেট শিকারের শুরুটা যার হাত ধরে শেষটাও করেন তিনিই। মুস্তাফিজকে বোল্ড করে ২৭ বল আগে রংপুরকে থামিয়ে দেন মেহেদি।

১০ ম্যাচে সপ্তম জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। ১১ ম্যাচে সপ্তম হারের স্বাদ পাওয়া রংপুর ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে ছয় নম্বরে।

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন শাদাব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৪৫/৯ (তামিম ৪০, এনামুল ১১, মেহেদি ১, আরিফুল ১৩, মুমিনুল ৭, আসিফ ৯, থিসারা ১০, শাদাব ৩১*, আশরাফ ৫, মাশরাফি ৬, মাহমুদ ০*; সানি ৩-০-১৯-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৪-৩, গ্রেগোরি ৪-০-২৮-১, তাসকিন ৪-০-৩২-৩, নবি ৪-০-২১-২, দেলপোর্ত ১-০-৯-০)

রংপুর রেঞ্জার্স: ১৫.৩ ওভারে ৮৪ (নাঈম ৪, ওয়াটসন ০, দেলপোর্ত ২০, গ্রেগোরি ৫, মাহমুদ ৩, আল আমিন ২৩, নবি ১২, জহুরুল ৮, সানি ০, তাসকিন ৪*, মুস্তাফিজ ২; মেহেদি ৩.৩-০-১২-৩, মাশরাফি ৪-০-১৮-২, আশরাফ ৩-০-২৬-২, মাহমুদ ১-০-১১-১, শাদাব ৩-০-১৪-২)

ফল: ঢাকা প্লাটুন ৬১ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: শাদাব খান