‘সফল ও সম্ভাবনাময় ডিসিপ্লিনে গুরুত্ব দিবে বিওএ’

৬টি ডিসিপ্লিন থেকে এসেছে সোনার পদক। ৮টি ডিসিপ্লিনে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি রুপা। ব্রোঞ্জের বৃত্তে বন্দি থেকেছে ৬টি। ৫টি ডিসিপ্লিন পদকের খাতাই খুলতে পারেনি। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে সাফল্য এনে দেওয়া এবং সম্ভাবনাময় ডিসিপ্লিনগুলোকে প্রাধান্য দিতে চান। একইসঙ্গে তারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়টি ভাবছেন গুরুত্ব দিয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদককাঠমান্ডু থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2019, 03:35 PM
Updated : 10 Dec 2019, 03:35 PM

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্কুলের ছেলেমেয়েদের নাচ-গান, তিন বাহিনীর কলাকৌশলের প্রদর্শনী, স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা হলো সমাপনী অনুষ্ঠানে। দুই বছর পরের আসর বসবে পাকিস্তানে। এসএ গেমসের পতাকা তাই তুলে দেওয়া হলো দেশটির হাতে। ত্রয়োদশ আসরের সমাপ্তি ঘোষণা করেন নেপাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জীবন রাম শ্রেষ্ঠা।

এবারে মোট ১৪২টি (১৯টি সোনা, ৩৩টি রুপা ও ৯০টি ব্রোঞ্জ) পদক জিতেছে বাংলাদেশ। এসএ গেমসে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য পেলেও পদক তালিকায় সাত দলের মধ্যে পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি মিলিয়ে খুশি বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা জানালেন আগামীর পরিকল্পনা।

“আমি সত্যি খুব খুশি। প্রত্যাশা যা নিয়ে এসেছিলাম এর খুব কাছাকাছি গিয়েচে। কিন্তু কিছু ডিসিপ্লিনে অ্যাথলেটরা খারাপ করেছে। আমরা হতাশ হইনি। যে রুপাগুলো পেয়েছি, এর মধ্যে সোনার প্রত্যাশা ছিল। কিছু পয়েন্টের জন্য হেরেছি। যদি এগুলো সোনা হতো তাহলে আমাদের ভালো হতো।”

“কিছু গেমস আইডেন্টিফাই করতে হবে। পদকের জন্য যদি খেলতে হয়, তাহলে যেসব ডিসিপ্লিনে সোনা জিতেছি, সেগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। মার্শাল আর্টে অনেক ইভেন্ট আছে। এগুলোকে যদি নিজেদের নজরদারিতে নিয়ে আসি এবং দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসতে পারি, তাহলে যদি শতকরা ২৫ ভাগও সফল হই তাতে সোনার পদক ৪০-৫০টার কাছাকাছি নিতে পারব।”

অধিকাংশ ডিসিপ্লিনই এবার মাস চারেকের ক্যাম্প করে এসএ গেমসে এসেছিল। সাফল্য নিয়ে তৃপ্ত শেফ দ্য মিশন আসাদুজ্জামান কোহিনুর জানালেন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করার কথা।

“বড় গেমসগুলোতে ভাল করতে হলে প্রশিক্ষণ ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিকল্প নেই। ক্রীড়াঙ্গনের অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন আছে। মাঠের খেলা ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে নেপাল অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।”

সাঁতার এবার হতাশ করেছে। ব্যর্থতার মিছিলে ছিল ছেলেদের ফুটবল। বিওএ সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন ব্যর্থ ডিসিপ্লিনগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবার কথা জানালেন।

“যারা ভাল করেছে তাদের জন্য যেমন পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে, ঠিক তেমনই খারাপ করাদের তিরস্কারও প্রাপ্য। দেশে ফিরে ডিসিপ্লিন অনুযায়ী সবার ফলাফল খতিয়ে দেখব। আমরা অনেকগুলো রুপা জিতেছি। এর অনেকগুলোই সোনা হতে পারত। কেন সেটা হলো না? কী করলে ভবিষ্যতে পদকের রঙ বদলানো যাবে, সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে।”