বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শেষ দিনে ৫ উইকেটে ৩১২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল। মেট্রো ১২ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৪ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। বোলাররা তার সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি। শাহরিয়ার নাফিসকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান তোলেন আশরাফুল। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ফজলে মাহমুদের সঙ্গে যোগ করেন আরও ৪৩ রান।
ফজলে মাহমুদের বিদায়ের পর দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি নুরুজ্জামান ও মঈন খান। পঞ্চম উইকেটে সোহাগ গাজীকে নিয়ে ১০০ রানের আরেকটি জুটি গড়েন আশরাফুল। ৫৫ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সোহাগ।
লাঞ্চের পর ১৩৫ বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন আশরাফুল। ২০১১ সালের পর এই প্রথম জাতীয় লিগে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। সেবারে ঢাকা মেট্রোর হয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এই সংস্করণে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আশরাফুলের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু তুষার ইমরান (৩১) ও নাঈম ইসলামের (২৬)। সমান ২০টি করে সেঞ্চুরি নিয়ে ঠিক পেছনেই আছেন তিনজন (অলক কাপালী, মুমিনুল হক ও এনামুল হক)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৭৪.৪ ওভারে ৩১২/৫ (ইনিংস ঘোষণা) (শাহরিয়ার ১৬, আশরাফুল ১৫০*, মাহমুদ ১৮, নুরুজ্জামান ০, মঈন ৩, সোহাগ ৬৮, সালমান ৫০*;তাসকিন ৯-২-৩১-০, শহিদুল ১৪-৩-৪৪-১, শরিফুল্লাহ ২৬.৪-২-১১৪-৩, মানিক ১০-১-৫২-১, সানি ৮-০-৪৩-০, আল-আমিন ৫-০-২৩-০)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ১২ ওভারে ৩৪/০ (সাদমান ১৭*, রাকিন ১৭*; রাব্বি ৪-১-১৬-০, মনির ৫-১-১০-০, সোহাগ ৩-১-৮-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ আশরাফুল