ব্যাটসম্যানদের নিবেদনে ঘাটতি দেখছেন সাকিব

নিজেদের দেশে খেলা। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই স্পিন খেলে বেড়ে ওঠা সব ব্যাটসম্যান। তারপরও নবীন টেস্ট দলের স্পিন আক্রমণের সামনে এভাবে বেরিয়ে এলো ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল! চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে হতাশ সাকিব আল হাসানও। বাংলাদেশ অধিনায়ক ঘাটতি দেখছেন ব্যাটসম্যানদের নিবেদনে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2019, 03:12 PM
Updated : 6 Sept 2019, 03:12 PM

তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা আফগানিস্তান প্রথম ইনিংসে করেছে ৩৪২ রান। ১১৫তম টেস্ট খেলতে নামা বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ১৯৪ রানে।

এক পর্যায়ে দেড়শ ছোঁয়া নিয়েই ছিল টানাটানি। ১৪৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। নবম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলামের ৪৮ রানের জুটিতে কিছুটা স্বস্তিতে শেষ হয়েছে দিন।

পরে সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকবার সাকিব বললেন, এই টেস্টের উইকেট ‘ফ্ল্যাট।’ অধিনায়কের দাবিটা আরও বেশি প্রশ্ন তুলছে বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে। নিষ্প্রাণ উইকেটে যদি এমন অবস্থা হয় ব্যাটিংয়ের, বোলিং সহায়ক হলে কী অবস্থা হতো!

সাকিব নিজে আউট হয়েছেন ১১ রানে। দায় দিলেন তিনি নিজেদেরই।

“হয়তো আমরা ভালোভাবে নিবেদন দেখাতে পারিনি। মোসাদ্দেক ও তাইজুল যেভাবে খেলল, তাতে এখানে পরিকল্পনা করে খেলা ও টিকে থাকা যে সম্ভব তা ওরা প্রমাণ করেছে। হয়তো আমরা আরেকটু বেশি নিবেদন দেখাতে পারলে রানটা আরেকটু বেশি হতো।”

আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন যে দুজন, দারুণ খেলতে শুরু করেছিলেন, দুজনই আউট হয়েছেন বাজে শটে। কয়েকটি বাউন্ডারিতে রান পাওয়ার পর আবার তুলে মারতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন ৫২ রান করা মুমিনুল হক। তার আগে লিটন দাস ৩৩ রানে বোল্ড হয়েছেন রশিদ খানের প্রথম ওভারেই ক্রস ব্যাটে খেলে।

আলাদা করে প্রশ্ন হলো এই দুজনের আউট নিয়ে। ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যায় অধিনায়ক কিছুটা দায় দিলেন দুজনকেই।

“মুমিনুলের ব্যাপারটি হচ্ছে, সে যতক্ষণ রান করেছে, এভাবেই করে গেছে। আমি বলব না যে বলটি মারা উচিত হয়নি। হয়তো বাস্তবায়ন আরেকটু ভালো করা উচিত ছিল। ছয় না হয়ে হয়তো চার হতে পারতো, তেমন হলে ভালো হতো।”

“লিটনেরটি...এই উইকেটে বল একটু নিচে ছিল, মানে প্রথম দিনও ছিল, আজকেও ছিল। সেই হিসেবে হয়তো পরিকল্পনা করা উচিত ছিল যে ক্রস ব্যাটে শট একটু কম খেলা। কারণ ওর ব্যাটিং খুব ভালো হচ্ছিল। ভালো অবস্থায়ও চলে গিয়েছিল। একটি ভালো জুটি হয়ে গেলে হয়তো আমাদের উইকেট এখন ৮টির জায়গায় ৫ বা ৪টি থাকত।"