নতুন বল-সুইং-ইয়র্কার নিয়ে ল্যাঙ্গাভেল্টের ভাবনা

বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে পাশে নিয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই কথা বললেন পেস বোলিংয়ের বিভিন্ন দিক দিয়ে। জানালেন কিভাবে কাজ করতে চান বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে; কোন পথে এগোতে চান উন্নতির পথে।

নতুন বল কাজে লাগানো

এটা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তানের দায়িত্বে থাকার সময়ও এটি চ্যালেঞ্জিং ছিল। নতুন বলে উইকেট নিতে পারলে কিন্তু স্পিনারদের কাজও পরে সহজ হয়ে যায়। হতে পারে, ছোট ছোট টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করতে হবে। যেমন, ফিজকে (মুস্তাফিজ) নিয়ে বলা যায়। সে বাঁহাতি, সুইং করাতে পারে। একটু কাজ করলেই হবে। টেকনিক্যাল দিক থেকে কাজ করে হোক বা ট্যাকটিক্যাল, নতুন বলে সফল হওয়া জরুরি।

একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে, এমন পেসার বের করা যারা বাংলাদেশের বাইরে সফল হতে পারে, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ায়। ভারতের দিকে তাকালে দেখবেন, ওদের এখন অন্তত এমন তিনজন পেসার আছে যারা দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ায় ম্যাচ জেতাতে পারে। কোনোভাবে এরকম পেসার বের করতে হবে, দেশের বাইরে গেলে যারা নিজেদের মেলে ধরতে পারবে এবং দল আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারবে।

সুইং ও বাউন্স

বাউন্স আদায় করার কাজটা কঠিন। বিশেষ করে যদি দীর্ঘদেহী পেসার না থাকে। তাসকিন আছে বেশ লম্বা। সে যদি ইনজুরিমুক্ত থাকতে পারে, যথেষ্ট ফিট হয়, সে উইকেট থেকে বাড়তি বাউন্স আদায় করতে পারে।

সুইং বোলিংয়ের কথা বললে, আমি মাত্রই এলাম। ছেলেদের দেখতে হবে। আমার নিজের বোলিংয়ের শূল শক্তি ছিল সুইং। দেখব কিভাবে সুইং করানোয় ওদের সাহায্য করতে পারি আমি। কেউ যদি সুইং করাতে না পারে, তাকে ধারাবাহিক হতে হবে। আগ্রাসী লাইন-লেংথে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।

কোর্টনি ওয়ালশ (সবশেষ বোলিং কোচ) অবশ্যই গ্রেট বোলার ছিলেন। তবে কোচ হিসেবে আমার দর্শন আলাদা। আমি স্কিল নিয়ে বেশি কাজ করতে চাই, সব ধরনের কাজ করতে চাই। তবে বাউন্সের কথা বললে, দীর্ঘদেহী না হলে বাউন্স আদায় করা কঠিন।

ইয়র্কার

আমি সবসময়ই ইয়র্কারকে খুব কার্যকর মনে করেছি। তবে বিশ্ব ক্রিকেট অনেক বদলে গেছে। এখন ইয়র্কার করতে গিয়ে লেংথ একটু এদিক-সেদিক হলেই প্রচুর রান হজম করতে হবে। তবে বোলিং কোচ হিসেবে আমি এখনও বিশ্বাস করি, এটি সেরা অস্ত্র হতে পারে যদি ঠিক জায়গায় রাখা যায়। চাপের সময় এটি ঠিকভাবে করতে পারলে এর চেয়ে ভালো কিছু নেই।

কারও যদি খুব ভালো স্লোয়ার ডেলিভারি থাকে, সেটির কার্যকারিতা বাড়াতেও ভালো বাউন্সার ও ইয়র্কার থাকা জরুরি। তাহলে ব্যাটসম্যানকে চমকে দেওয়া যায়।

একটা ব্যাপার হলো, এটি আয়ত্ত করতে হলে, অনুশীলনে অনেক খাটতে হবে। নিয়মিত অনুশীলনের বাইরে অনেক অনেক অনুশীলন করতে হবে।

রিভার্স সুইং

রিভার্স সুইংয়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিম পজিশন। রিভার্স সু‌ইংয়ে যারা দারুণ ছিল, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, তারা কিন্তু ভালো সুইং বোলারও ছিল। খুব বড় ব্যাপার নয়। ছোট ছোট কিছু দিক নিয়ে কাজ করতে হবে, শুধরে দেওয়া খুব কঠিন নয়।