লর্ডসে গত রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ বলে ১ রান নিয়ে ম্যাচ টাই করেন স্টোকস। পরে সুপার ওভারও টাই হয়। বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোয় নিউ জিল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস শেষ সময়টায় ফিরে গিয়ে ফাইনালের নায়ক স্টোকস জানান, বাংলাদেশের ব্যর্থতা থেকে ঠিক করেছিলেন, কোনোভাবেই উড়িয়ে মেরে আউট হওয়া যাবে না।
“আমার মনে হয়, ব্যাপারটি নিয়ে আমি শেষ বলের আগের বলে ভেবেছিলাম। আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশের কথা ভেবেছিলাম, ওদের একই রকম প্রয়োজন ছিল এবং ওরা কেবল উড়িয়ে মেরেছিল।”
“আমি শুধু ভাবছিলাম, ক্যাচ আউট হওয়া যাবে না। এক রান নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং ম্যাচটি অন্তত সুপার ওভারে নিতে হবে। যদি আমি গ্যাপে পাঠাতে পারি তাহলে হয়তো আমরা দুই রানও নিতে পারব।”
“আমার প্রক্রিয়া ছিল এটাই। উড়িয়ে মেরে আউট হওয়া যাবে না। নায়ক হওয়ার এবং ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার চেষ্টা করা যাবে না। দুই রান নেওয়ার আশা করেছিলাম। সেটা সম্ভব হয়নি।”
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ৩ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ক্রিজে ছিলেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায় হার্দিক পান্ডিয়ার বলে সীমানায় ধরা পড়েন দুইজনই। শেষ বলে রান আউট হয়ে যান মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ হেরে যায় ১ রানে। সেই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে স্টোকস শিরোপা এনে দিলেন ইংল্যান্ডকে।