বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের গতির ঘাটতি নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক। দলের সব পেসারই মিডিয়াম পেসার, ধারাবাহিকভাবে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করার পেসার নেই একজনও। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে এই পেস আক্রমণ কতটা কার্যকর হতে পারে, সেই প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে, পরের ম্যাচেই সামলাতে হবে ক্যারিবিয়ানদের আগ্রাসী ব্যাটিং লাইন আপকে।
ওয়ালশ এই গতির আলোচনার স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন না। খেলোয়াড়ী জীবনে নিজেও খুব গতিময় ছিলেন না। তার ছিল দারুণ স্কিল ও ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বল করার ক্ষমতা। গতিময় অনেক বোলারের চেয়ে বেশি কার্যকর ছিলেন স্কিল দিয়ে। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল বোলারদের একজন তিনি। তার চেয়ে ভালো তাই এটি কে বোঝে!
গতির প্রয়োজনীয়তা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনিও। তবে তার মতে, আরও বেশি জরুরি অন্য স্কিলগুলো। মনে করিয়ে দিলেন, গতিময় পেসার ছাড়াই বাংলাদেশ পেয়েছে দারুণ সব সাফল্য।
“গতি তো কখনও কখনও বাড়তি সাহায্য করেই। তবে আমার মতে, ধারাবাহিকতা ও নিয়ন্ত্রণই আসল। আর প্রয়োজন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। অন্য অনেকের মতো ১৪০-১৫০ গতি না থাকলেও সেটা পুষিয়ে দেওয়া যায় বৈচিত্র দিয়ে। আমরা সেভাবেই সফল হয়েছি।”
“ছেলেরা অনুশীলন ঘাম ঝরাচ্ছে ঠিক জায়গায় বল রাখতে। ক্রিকেটে একটি-দুটি খারাপ দিন আসে, আরও আসবে। আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। সেই সামর্থ্যও আমাদের আছে।”