শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে আরও এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

কুইন্টন ডি ককের ঝড়। ফাফ দু প্লেসির ফিফটি। তুমুল গতিতে দল ছুটছিল তিনশর পথে। বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকা থমকে গেল আড়াইশতেই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর আরেক অধ্যায়ের তখনও বাকি! গতির ঝড় তুলে ওই পুঁজিতেই দলকে বড় জয় এনে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2019, 06:19 PM
Updated : 6 March 2019, 07:50 PM

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ১১৩ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ২-০ তে।

সেঞ্চুরিয়নে বুধবার শক্ত ভিত পেয়েও শেষ দিকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। অলআউট হয় তারা ২৫১ রানে। তবে প্রোটিয়া বোলারদের সামনে আরও দুরাবস্থা হয় শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং লাইন আপের। মাত্র ৩২.২ ওভারে গুটিয়ে যায় তারা ১৩৮ রানে।

১৭ চার ও ১ ছক্কায় ৭০ বলে ৯৪ করেছেন ডি কক। পরে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ফাস্ট বোলার, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও আনরিক নরকিয়ার গতিময় বোলিংয়ে কাবু হয় লঙ্কানরা।

সুপারস্পোর্ট পার্কে শ্রীলঙ্কা টস জিতে নামে বোলিংয়ে। তাদের হতাশ করে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন ডি কক ও রিজা হেনড্রিকস। ডি কক ছিলেন আগ্রাসী, হেনড্রিকস দিয়েছেন সঙ্গ। ৩৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ডি কক, তাতে চারই ছিল ১২টি!

৪১ বলে ২৯ রান করা হেনড্রিকসের বিদায়ে ভাঙে ৯১ রানের জুটি। ডি কক চালিয়ে গেছেন এরপরও। এবার জুটিতে তার সঙ্গী দু প্লেসি।

ডি ককের শতক মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু থিসারা পেরেরার লেগ স্টাম্পের বাইরে একটি ডেলিভারি খেলতে গিয়ে তুলে দেন ক্যাচ। হতাশায় ফেরেন সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে।

ছবি: আইসিসি

টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে সবশেষ ৫ ম্যাচে এই নিয়ে ৫ বার আশি পেরিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারলেন না ডি কক।

চারে নেমে রাসি ফন ডার ডাসেন সুবিধা করতে পারেননি। কাসুন রাজিথাকে টানা চারটি বাউন্ডারি মারলেও ভিযাস মুল্ডার থমকে যান ১৭ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকা তবু বিপদে পড়েনি। দু প্লেসি দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে। ৩৬ ওভার শেষে দলের রান ছিল ৪ উইকেটে ২২০।

এরপরই ধস। ৫৭ রান করে আউট হন দু প্লেসি। রান রেট ভালো থাকলেও উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত। ৩১ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংসই শেষ!

ব্যাটিংয়ের শেষটা হতাশায় করে দক্ষিণ আফ্রিকা মাঠে ফিরে বোলিংয়ের ঝাঁঝ নিয়ে। নতুন বলে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ভোগান রাবাদা ও এনগিডি। এরপর ছোবল দেন নরকিয়া। লঙ্কানরা জয়ের সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি।

ওশাদা ফার্নান্দোর ৩১ ছিল দলের সর্বোচ্চ। গড়ে ওঠেনি কোনো ফিফটি জুটিও। চতুর্থ উইকেটে কুসল মেন্ডিসের সঙ্গে ফার্নান্দোর জুটি ছিল ৪০ রানের। এরপর তারা শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে ৪৬ রানে।

রাবাদা, এনগিডি ও নরকিয়া পেসত্রয়ী নিয়েছে ৭ উইকেট। তবে শুরুর ঝড়ে ম্যাচ সেরা ডি কক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫.১ ওভারে ২৫১ (ডি কক ৯৪, হেনড্রিকস ২৯, দু প্লেসি ৫৭, ফন ডার ডাসেন ২, মুল্ডার ১৭, মিলার ২৫, ফেলুকওয়ায়ো ২, রাবাদা ৩, নরকিয়া ৮, এনগিডি ৬, তাহির ১*; মালিঙ্গা ২/৩৯, বিশ্ব ১/৪৭, ধনাঞ্জয়া ২/৫৫, রাজিথা ১/৪৬, দনাঞ্জয়া ১/৩৮, থিসারা ৩/২৬)।

শ্রীলঙ্কা: ৩২.২ ওভারে ১৩৮ (ডিকভেলা ৬, আভিশকা ১০, কুসল পেরেরা ৮, ওশাদা ৩১, কুসল মেন্ডিস ২৪, ধনাঞ্জয়া ১৫, থিসারা ২৩, দনাঞ্জয়া ৪, রাজিথা ০, মালিঙ্গা ১, বিশ্ব ২*; রাবাদা ৩/৪৩, এনগিডি ২/১৪, নরকিয়া ২/২৫, মুল্ডার ০/১৩, তাহির ২/৩৯)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৩ রানে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-০ তে এগিয়ে

ম্যান অব দা ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক