দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৩ রান। দিলরুয়ান পেরেরা ১১ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ১ রানে ব্যাট করছেন। দিনেশ চান্দিমালের দল এখনও ৪১১ রানে পিছিয়ে।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। গতিময় পেসার প্যাট কামিন্সের বলে ঘাড়ে চোট পেয়ে করুনারত্নে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লে বড় একটা ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা ইনিংসের ৩১তম ওভারে একটি বাউন্সারের চোখ সরিয়ে নিয়ে ঘুরে গেছিলেন করুনারত্নে। ওপেনার যতটা ভেবেছিলেন ততটা উঠেনি বল। আঘাত হানে ঘাড়ে, লুটিয়ে পড়েন ব্যাটসম্যান। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে আসেন দলের ফিজিও, অস্ট্রেলিয়া দলের চিকিৎসক। মাঠ থেকে সরাসরি হাসপাতালে নেওয়া হয় করুনারত্নেকে।
মানুকা ওভালে শনিবার ৪ উইকেটে ৩৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই হারায় বার্নসকে। কাসুন রাজিথার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প। ২৭ চারে ২৬০ বলে ১৮০ রান করে ফিরে যান বার্নস।
দ্বিতীয় দিন সেটাই হয়ে থাকে লঙ্কানদের একমাত্র সাফল্য। দ্বিতীয় নতুন বলে প্যাটারসনের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। আগের দিন মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে জীবন পাওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ধীরে ধীরে ফিরে পান নিজেকে।
অন্য প্রান্তে শুরু থেকে সাবধানী ছিলেন অধিনায়ক টিম পেইন। ষষ্ঠ উইকেটে প্যাটারসনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১৩০ রানের জুটিতে তার অবদান তিন চারে ৪৫ রান।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া প্যাটারসন অপরাজিত থাকেন ১১৪ রানে। তার ১৯২ বলের ইনিংস গড়া ১৪ চার ও এক ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৩৮৪/৪) ১৩২ ওভারে ৫৩৪/৫ ইনিংস ঘোষণা (বার্নস ১৮০, প্যাটারসন ১১৪*, পেইন ৪৫*; রাজিথা ১/১০৩, ফার্নান্দো ৩/১২৬, চামিকা করুনারত্নে ১/১৩০, দিলরুয়ান ০/১১২, ডি সিলভা ০/৬০)
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৩ ওভারে ১২৩/৩ (দিমুথ করুনারত্নে আহত অবসর ৪৬*, থিরিমান্নে ৪১, চান্দিমাল ১৫, মেন্ডিস ৬, দিলরুয়ান ১১*, ডি সিলভা ১*; স্টার্ক ১/৩২, রিচার্ডসন ০/২৩, কামিন্স ১/২৫, লায়ন ১/৪০)