তিনে ফিরছেন সৌম্য, ইমরুলের বদলে মিঠুন

ছয়-সাতে খেলানোর ‘পরীক্ষা’ আপাতত শেষ। সৌম্য সরকার আবার ফিরছেন টপ অর্ডারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান খেলবেন টপ অর্ডারে। প্রথম দুই ম্যাচে তিনে নেমে ব্যর্থ ইমরুল কায়েস জায়গা হারাচ্ছেন একাদশে। মিডল অর্ডারে ফিরছেন মোহাম্মদ মিঠুন। 

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2018, 01:45 PM
Updated : 13 Dec 2018, 01:45 PM

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে একাদশে পরিবর্তন আসছে আরও একটি। পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায় ফিরছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। শেষ মূহুর্তে কোনো কারণে ভাবনায় পরিবর্তন না এলে, একাদশে এই দুই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ম্যাচের আগের দিন মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে জানা গেছে দলের নানা সূত্র থেকে।

প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন এমন চার ব্যাটসম্যান, যারা মূলত ওপেনার। সেটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল সম্ভবত সৌম্যর ব্যাটিং পজিশনই। আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যানের শক্তির জায়গা পেস বোলিং খেলা। ছন্দে থাকলে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইন আপ। টপ অর্ডারই তার মূল জায়গা। এই সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনে নেমে। সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনে খেলেই।

কিন্তু লিটন ও ইমরুল, দুজনকে টপ অর্ডারে জায়গা দিতে এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সৌম্যকে ব্যাটিং অর্ডারে নামিয়ে আনা হয় নিচে। তৃতীয় ওয়ানডের আগের দিন মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাখ্যা করলেন টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের জন্য ওপেনিংয়ে লিটন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের রেকর্ড রান করার জন্য ইমরুলও টপ অর্ডারে। তবে অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন শেষ ওয়ানডেতে পরিবর্তনের। 

“আমি সব সময় চাইব সৌম্য ওপেন কিংবা ওয়ান ডাউনে ব্যাট করুক। যদি না ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন সমস্যা না হয়। সৌম্য থাকলে সুবিধা দলের জন্য। নির্দিষ্ট খেলোয়াড় কোথায় খেলতে ভালো অনুভব করে,সেটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচের দিকে যদি তাকান, ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন না ভাবলে ইমরুলই ওপেনিংয়ে প্রথম পছন্দ থাকত। ৩৫০ রান করার পরও (আগের সিরিজে) তাকে বসিয়ে রাখা আমাদের সংস্কৃতিতে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।”

“আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা যে একেবারেই পারফেক্ট, তা বলার সুযোগ অবশ্যই নেই। তাহলে তো আমরা সব ম্যাচই জিততাম! আমি প্রথম ম্যাচের আগেই বলেছিলাম, সৌম্যর জন্য সেরা পজিশন হচ্ছে ওপেন বা তিন নম্বর। কারন ও পেস বোলিং খেলতে স্বচ্ছন্দ। সার্কেলটা ব্যবহার করলে ওর জন্য সবচেয়ে ভালো হয়। আসলে এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছিল, যে কারণে ওকে ওই পজিশনে (ছয়-সাতে) সেট করতে হয়েছিল। তবে এটা অ্যাডজাস্ট করা জরুরি, যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো।”

ভালোর খোঁজেই সেই ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। প্রথম দুই ম্যাচে শূন্য ও চার রানে ওশান টমাসের বলে আউট হওয়া ইমরুলকে একাদশের বাইরে ঠেলে তিনে উঠিয়ে আনা হচ্ছে সৌম্যকে। ছয় ও সাতে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন কিংবা ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলবেন মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহ।

রুবেল আগের ম্যাচে খুব খারাপ বোলিং করেননি। গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট নিয়েছিলেন। ড্যারেন ব্রাভোকে বোল্ড করে ভেঙেছিলেন জুটি। পরে ফিরিয়েছিলেন বিপজ্জনক শিমরন হেটমায়ারকে। প্রথম ম্যাচে অবশ্য খরুচে ছিলেন। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত শেষের ওভারগুলোয় রুবেলের বোলিংয়ে সন্তুষ্ট নন কোচ স্টিভ রোডস। ‘ডেথ’ বোলিংয়ের কথা ভেবেই একাদশে ফেরানো হচ্ছে সাইফকে।

সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ওয়ানডেই খেলেছিলেন সাইফ। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ফিফটি, উইকেট পাননি। দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়েছিলেন তিন উইকেট, শেষ ম্যাচে একটি।