বিসিএলের নতুন মৌসুমে প্রথম দিনটি দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে রাঙালেন মজিদ। শুরুর ধস সামলে উদ্ধার করলেন দলকে। দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে সিলেটে মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসে তুলেছে ২৮২ রান। মজিদ একাই করেছেন দলের অর্ধেক।
শেষ ব্যাটসম্যান শহিদুল ইসলামকে নিয়ে শেষ জুটিতে মজিদ গড়েছেন ১২৪ রানের জুটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শেষ উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এটি। ২০১৪ সালে জাতীয় লিগে রাজশাহীর হয়ে খুলনার বিপক্ষে শেষ জুটিতে ১৬৫ রান তুলেছিলেন মুক্তার আলি ও দেলোয়ার হোসেন।
বুধবার সকালে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে দক্ষিণাঞ্চলের পেসত্রয়ী বিপাকে ফেলে দিয়েছিল মধ্যাঞ্চলকে। ম্যাচের প্রথম ওভারে লিটন দাসকে ফেরান শফিউল ইসলাম। পরের ওভারে আরেক ওপেনার সাইফ হাসানকে ফেরান আল আমিন হোসেন।
তৃতীয় জুটিতে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মজিদ চেষ্টা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু শান্তকে ২৩ রানে থামান আল আমিন।
এরপর উইকেট শিকারে যোগ দেন তৃতীয় পেসার রুবেল হোসেনও। ৭৩ রানে মধ্যাঞ্চল হারায় ৬ উইকেট।
মজিদ ছিলেন উইকেট আঁকড়ে। সপ্তম জুটিতে প্রতিরোধে সঙ্গী পান মোশাররফ হোসেনকে। এই জুটিতে আসে ৫৭ রান।
পেসারদের সঙ্গে জ্বলে ওঠেন আব্দুর রাজ্জাকও। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার ছোবল দেন মধ্যাঞ্চলের লেজে। মধ্যাঞ্চলের রান হয়ে যায় ৯ উইকেটে ১৫৮।
এরপরই শেষ জুটির অবিশ্বাস্য ব্যাটিং। পাল্টা আক্রমণে দুজন হতভম্ব করে দেন দক্ষিণাঞ্চলের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ। ১২৪ রানের জুটি গড়েছেন তারা ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি রান তুলে।
প্রথম ফিফটি করেছিলেন মজিদ ১১২ বলে। দ্বিতীয় ফিফটিতে লেগেছে কেবল ৫৩ বল। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দশম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন ১৬৫ বলে। এটি তার টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও। জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডেও করেছিলেন সেঞ্চুরি।
আগের ২৫ ম্যাচে শহিদুলের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩২। এ দিন নিজেকে ছাড়িয়ে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ বলে করেছেন ৫৮ রান।
শেষ পর্যন্ত শহিদুলের বিদায়েই শেষ হয়েছে ইনিংস। মজিদ তখন ১৩ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ২১৯ বলে ১৪১ রানে।
শেষ বিকেলে ৫ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে দক্ষিণাঞ্চল তুলেছে ২৯ রান।
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৭৪.৫ ওভারে ২৮২ (লিটন ০, সাইফ ০, শান্ত ২৩, মজিদ ১৪১*, মার্শাল ৪, শুভাগত ১১, তাইবুর ৩, মোশাররফ ১৯, রবিউল ০, আবু হায়দার ১৩, শহিদুল ৫৮; শফিউল ১/৪৪, আল আমিন ৩/৬৫, রুবেল ২/৪২, রাজ্জাক ৩/৭০, মেহেদি ১/৫৭)।
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৫ ওভারে ২৯/০ (শাহরিয়ার ১৫*, এনামুল ৯*)।