একাদশ নিয়ে প্রশ্ন যৌক্তিক, মানছেন কোচ

পেস বোলিংয়ে নিয়ে অনেক হাঁকডাক হলো গত কিছুদিনে। স্কোয়াডে পেসার চার জন। কিন্তু গর্জন যতটা হলো, বর্ষণ হলো ততটাই কম। একাদশে পেসার কেবল একজন! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও একাদশ সাজানো হলো সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে। সিলেট টেস্টের বাংলাদেশ একাদশ নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। সেসবকে যৌক্তিক বলেই মানছেন স্টিভ রোডস। তবে বাংলাদেশের কোচ বোঝাতে চাইলেন বাস্তবতাও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2018, 02:42 PM
Updated : 5 Nov 2018, 02:42 PM

প্রশ্নগুলো ভিড় করতে শুরু করেছে টেস্টের প্রথম সকাল থেকেই। কিন্তু কৌতুহল মেটানোর জন্য প্রথম দুই দিনে পাওয়া যায়নি দায়িত্বশীল কাউকে। অবশেষে তৃতীয় দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন কোচ।

প্রশ্নের তীর তার জন্য তৈরিই ছিল। গতিময় পেসার চাই, দীর্ঘদেহী পেসার চাই, ফাস্ট বোলিংয়ের সংস্কৃতি বদলাতে চাই, এসব বলে গত কিছুদিনে অনেক তোলপাড় করেছেন রোডস। কিন্তু একাদশে পড়েনি তার সেসব কথার প্রতিফলন।

এক পেসার খেলানোর প্রশ্নে কোচের কণ্ঠে শোনা গেল অসাহায়ত্ব। একাদশ ব্যালান্সড নয়, স্বীকার করলেন নিজ থেকেই। জানালেন, উইকেটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত।

“আমি অবশ্যই মরিয়া হয়ে চাই, অন্তত গোটা দুই গতিময় পেসার বাংলাদেশের হয়ে খেলুক। এখানে কিছু ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদেশে যেতে পারলে ওদের জন্য দারুণ হবে। আমরা সেটা খুব করেই চাইছিলাম, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময় উইকেটকেই প্রাধান্য দিতে হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, এক পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে খেললেই আমাদের সুযোগ বেশি।”

“অবশ্যই দল ব্যালান্সড নয়। বোলিং আক্রমণ ব্যালান্সড নয়। তর্ক করলে ব্যাপারটিকে বলা যায় ৫০-৫০। সৌভাগ্যবশত আমরা ওদের ২০ উইকেট নিতে পেরেছি।”

উইকেট শুষ্ক ছিল, সময়ের সঙ্গে টার্ন করার কথা। টেস্ট শুরুর আগে এই ছিল ভাবনা। জিম্বাবুয়ে স্পিনে বরাবরই দুর্বল। তিন স্পিনার খেলানো তাই খুব বিস্ময়কর নয়। কিন্তু সাতজন ব্যাটসম্যান খেলানোর সিদ্ধান্তই বেশি প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যাটসম্যান একজন কম খেলিয়ে আরেকজন পেসার বাড়ানো যেত কিনা, প্রতিপক্ষকে আগ্রাসী ক্রিকেটের বার্তা দেওয়া যেত কিনা, এই প্রশ্ন উঠছে। কোচ জানালেন, তারা চেয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়াতে।

“আমরা সাতজন ব্যাটসম্যান খেলিয়েছি ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়াতে। আরিফুল অভিষেকেই যেভাবে ব্যাট করেছে, আমাদের ভাবনার স্বার্থকতা মিলেছে তাতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব সংস্করণেই ব্যাটিং লাইন আপ গভীর হওয়া জরুরি। আরিফুল সাত নম্বরে দারুণ সংযোজন।”