এনসিএলের চতুর্থ রাউন্ডে জহুরুল ইসলামের দল জিতেছে ৮ উইকেটে। চতুর্থ ও শেষ দিনে ৩৭ রানের লক্ষ্য মাত্র ৪.৪ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে রাজশাহী।
মিজানুর রহমান ও সাব্বির রহমানকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন পেসার আল আমিন হোসেন। মাইশুকুর রহমানকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন জহুরুল। তিন চারে ৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক।
এর আগে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ৯ উইকেটে ৪১৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করে স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে শুরু হওয়া খুলনার প্রথম ইনিংস শেষ হয় চতুর্থ দিনের সকালে।
সাকলাইন সজীবকে ফিরিয়ে ৪৩১ রানে খুলনাকে থামান জিয়াউর রহমান। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন শফিউল ইসলাম।
১২২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা খুলনা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৫৮ রানে। ১০ উইকেট ভাগ করে নেন তিন পেসার রেজা, শফিউল ও মুক্তার।
তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি খুলনা। দুই অঙ্কে যাওয়া ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ পারেননি দলকে এগিয়ে নিতে।
শুরুতেই এনামুল হককে এলবিডব্লিউ করে ফেরান শফিউল। অন্য ওপেনার রবিউল ইসলাম রবিকে বোল্ড করে দেন ফরহাদ রেজা। দুই অঙ্কে গিয়ে বিদায় নেন মেহেদি হাসান, নুরুল হাসান ও তুষার ইমরান।
শেষের দিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়া মইনুল ইসলামকে ফিরিয়ে দেন মুক্তার। ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদুল ইসলাম।
২৬ রানে ৪ উইকেট নেন রেজা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নেওয়া এই পেসার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। মুক্তার ও শফিউল নেন তিনটি করে উইকেট।
বোলারদের নৈপুণ্যে ছোট লক্ষ্য পাওয়া রাজশাহী বাকিটা সারে সহজেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা ১ম ইনিংস: ৩০৭
রাজশাহী ১ম ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ৪১৮/৯) ১৫৫.৩ ওভারে ৪৩১ (শফিউল ১৩*, সাকলাইন ৮; আল আমিন ২/৭৭, রবিউল ০/৫৬, মইনুল ২/৬৩, সৌম্য ২/৫৬, আফিফ ১/৪৭, নাহিদুল ০/৬০, মেহেদি ১/৩০, জিয়াউর ১/২৪, তুষার ০/৬)।
খুলনা ২য় ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৫৮ (রবি ২৪, এনামুল ৭, মেহেদি ১৯, নুরুল ২২, তুষার ১৯, জিয়া ১, আফিফ ২, নাহিদুল ৩০*, মইনুল ২৩, রবিউল ০, আল আমিন ১; শফিউল ৩/৫৯, সাকলাইন ০/৩, সানজামুল ০/২৩, রেজা ৪/২৬, ফরহাদ ০/১৬, মুক্তার ৩/১৩, সাব্বির ০/১০)
রাজশাহী ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৭) ৪.৪ ওভারে ৩৭/২ (মাইশুকুর ৭*, মিজানুর ৭, সাব্বির ৬, জহুরুল ১৫*; আল আমিন ২/১৭, জিয়া ০/২০)
ফল: রাজশাহী ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ফরহাদ রেজা