২০১৪ সালের অক্টোবরে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল লেগ স্পিনার জুবায়েরের। শুরুতে আলোড়নও তুলেছিলেন যথেষ্ট। কিন্তু অনেক সম্ভাবনা নিয়ে আসা ক্যারিয়ার থমকে যায় দ্রুতই। ৯ মাসের মধ্যে ৬ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টির পর জাতীয় দল তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্রাত্য হয়ে পড়েন জুবায়ের।
রিশাদকেও সেই একই পথে দেখতে চান না হাবিবুল। ১৭ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনারকে সামলাতে চান সতর্কতায়। পথ হারিয়ে আবার ফেরার চেষ্টায় থাকা জুবায়েরকেও রাখা হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে। তবে খেলার সুযোগ মেলেনি তারও।
হাবিবুল জানালেন, দুই লেগ স্পিনারকে নিয়েই ভিন্ন পরিকল্পনা আছে তাদের।
“শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই লেগ স্পিনার রিশাদ ও লিখন (জুবায়ের) কেউই খেলার সুযোগ পায়নি। তবে যুব দলের বিপক্ষে তারা খেলেছে। সামনেই এইচপি দলের একটা সফর আছে শ্রীলঙ্কায়, সেখানে তারা সুযোগ পাবে। লেগ স্পিনার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের আগে আমরা তাদের দেখব। ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রতিযোগিতা বেশি থাকে, যারা ভালো করছেন তাদের সুযোগটা দিতে হয়।”
“রিশাদ খুব ভালো বোলার। হয়ত কিছুদিন সময় দিতে হবে। ছেলেটা একদমই নতুন। তাড়াহুড়ো করে কাউকে সুযোগ দিতে চাই না। এই ভুলটা একবার করেছি, আর করতে চাই না। এই দুইজনকে নিয়ে আমাদের লম্বা পরিকল্পনা আছে। তাদের প্রস্তুত করেই আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঠাব।”
একজন লেগ স্পিনার খোঁজার মরিয়ায় প্রচেষ্টায় নির্বাচকেরা সন্ধান পেয়েছিলেন রিশাদের। নীলফামারীর একটি ক্রিকেট একাডেমি থেকে গত বছর স্পিনার হান্টে যোগ দিয়ে সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছিলেন রিশাদ।
পরে বিজয়ীদের নিয়ে আয়োজিত দুটি স্পিন ক্যাম্পে নজর কাড়েন তিনি। নেওয়া হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। সুযোগ পান এইচপির স্পিন ক্যাম্পেও। সেখানেই রিশাদকে দেখে মুগ্ধ হয়ে ‘এ’ দলে ডাকেন নির্বাচকেরা। এখন চলছে তাকে গড়ে তোলার পালা।