তৃতীয় দিন শেষে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ পেতে যাচ্ছে ফাফ দু প্লেসির দল। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই তা নিশ্চিত করে ফেলেন টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে দ্বাদশবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়া হেরাথ।
দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ১৯৯ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে স্বাগতিকরা প্রথম টেস্ট জিতেছিল ২৭৮ রানে।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সোমবার ৫ উইকেটে ১৩৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আরও ৩৫১ রান, ম্যাচ বাঁচাতে কাটাতে হতো পুরো দুটি দিন।
জয় যতটা সহজ হবে ভাবা হয়েছিল ততটা হয়নি ডি ব্রুইন ও বাভুমার দৃঢ়তায়। একের পর এক সুইপে লঙ্কান স্পিনের জবাব দিতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
তিন মূল স্পিনার কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন করতে পারছিল না প্রতিরোধ গড়া দুই ব্যাটসম্যানকে। ইনিংসের ৫৫তম ওভারে ম্যাচে প্রথমবারের মতো বোলিং করেন পেসার সুরঙ্গা লাকমল। অধিনায়ক বোলিং করান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও দানুশকা গুনাথিলাকাকে দিয়েও।
বাজে একটি সিরিজ কাটানো কুইন্টন ডি কক ব্যর্থ এবারও। ৮ রান করে ফিরেন হেরাথের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। অভিজ্ঞ লঙ্কান স্পিনারের পঞ্চম শিকার ডি ব্রুইন। ১২ চারে ১০১ রান করা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান বোল্ড করে দেন হেরাথ।
এরপর বেশি দূর এগোয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস। চতুর্থ দিন ১৫১ রান যোগ করে গুটিয়ে যায় ২৯০ রানে।
৯৮ রানে ৬ উইকেট নেন হেরাথ। দিলরুয়ান পেরেরা ও আকিলা দনঞ্জয়া দুটি করে। দ্বিতীয় টেস্টের ২০ উইকেটই ভাগ করে নেন স্পিনাররা। সিরিজে ৪০ উইকেটের ৩৭টিই যায় তাদের ঝুলিতে।
সিরিজ জুড়ে দারুণ ব্যাটিং করা দিমুথ করুনারত্নে জেতেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার। চার ইনিংসে তার রান ৩৫৬, এর অর্ধেকও করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩৩৮
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১২৪
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ২৭৫/৫ ইনিংস ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৪৯০) ৮৬.৫ ওভারে ২৯০ (এলগার ৩৭, মারক্রাম ১৪, ডি ব্রুইন ১০১, আমলা ৬, দু প্লেসি ৭, মহারাজ ০, বাভুমা ৬৩, ডি কক ৮, রাবাদা ১৮, স্টেইন ৬, এনগিডি ৪*; হেরাথ ৬/৯৮, দিলরুয়ান ২/৯০, দনাঞ্জয়া ২/৬৭, লাকমল ০/৮, ডি সিলভা ০/৫, গুনাথিলাকা ০/১)
ফল: শ্রীলঙ্কা ১৯৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়ী শ্রীলঙ্কা
ম্যান অব দা ম্যাচ: দিমুথ করুনারত্নে
ম্যান অব দা সিরিজ: দিমুথ করুনারত্নে