দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার অন্যতম ঘাঁটি সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠেই রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে লঙ্কানদের ভোগালেন মহারাজ। শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে শ্রীলঙ্কা করেছে ৯ উইকেটে ২৭৭ রান।
ম্যাচের প্রথম দিনেই ৩২ ওভার বোলিং করেছেন মহারাজ। ১১৬ রানে এই বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন ৮ উইকেট।
শ্রীলঙ্কায় কোনো সফরকারী স্পিনারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটিই। এশিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকান কোনো স্পিনারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসেই সেরা বোলিং কীর্তির হাতছানিও ছিল মহারাজের সামনে। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হচ্ছে না। ১৯৫৭ সালে হিউ টেফিল্ডের গড়া ১১৩ রানে ৯ উইকেটের রেকর্ড আপাতত অক্ষত থাকছে। তবে দ্বিতীয় প্রোটিয়া বোলার হিসেবে ৯ উইকেট নেওয়ার হাতছানি আছে এখনও।
অথচ মহারাজের রাজত্ব শুরুর আগে দাপট ছিল লঙ্কানদেরই। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দিমুথ করুনারত্নে ও দানুশকা গুনাথিলাকা।
তিন প্রোটিয়া পেসার খুব একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি। মহারাজ আক্রমণে আসতে আসতে থিতু হয়ে যান দুই ওপেনারই। দুজনই করেন ফিফটি। দলকে এনে দেন শতরানের উদ্বোধনী জুটি।
২০১৬ সালের অক্টোবরে হারারেতে কৌশল সিলভার সঙ্গে ১২৩ রানের জুটি গড়েছিলেন করুনারত্নে। সেটির ৪২ ইনিংস পর আবার শুরুর জুটিতে শতরান পেল শ্রীলঙ্কা।
দুই ওপেনারকে পরে নিজের পরপর দুই ওভারে ফিরিয়েছেন মহারাজ। আগের টেস্টে আদ্যন্ত ব্যাটিংয়ের কীর্তি গড়া করুনারত্নে এবার ফেরেন আগে। ৫৩ রানে কটবিহাইন্ড লেগ স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়ে। পঞ্চম টেস্টে এসে প্রথম ফিফটির দেখা পাওয়া গুনাথিলাকা ফিরেছেন কাগিসো রাবাদার দুর্দান্ত ক্যাচে।
এরপর শ্রীলঙ্কার সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান কুসল মেন্ডিস ও অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও মহারাজের শিকার।
পঞ্চম উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও রোশেন সিলভা। ২২ রান করা রোশেনকে দারুণ ইয়র্কারে বোল্ড করে জুটি ভেঙেছেন রাবাদা।
এরপর আবার মহারাজের ছোবলে অসহায় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেই থামেননি, গড়েছেন আরও রেকর্ড।
দিনটায় কেবল একটি হতাশাই থাকতে পারে মহারাজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার। দিনের শেষ ৫ ওভারে ভাঙা যায়নি লঙ্কানদের শেষ জুটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৮৬ ওভারে ২৭৭/৯ (গুনথিলাকা ৫৭, করুনারত্নে ৫৩, ধনঞ্জয়া ৬০, কুসল ২১, ম্যাথিউস ১০, রোশেন ২২, ডিকভেলা ৫, দিলরুয়ান ১৭, দনঞ্জয়া ১৬*, লাকমল ০, হেরাথ ৫*; স্টেইন ০/৪৭, রাবাদা ১/৩৭, এনগিডি ০/৪৮, মহারাজ ৮/১১৬, মারক্রাম ০/১৭, এলগার ০/১০)।