এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল পেস বোলিংয়ের স্বর্গরাজ্য। গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে ব্যাটসম্যানদের হাড়ে কাঁপন জাগাতেন ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলাররা। ওয়ালশের ক্যারিয়ার শেষ হতে হতে সেসব হয়ে পড়ে ক্ষয়িষ্ণু। পরে তো হারিয়েই যায়। চিরায়ত চরিত্র হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটগুলো হয়ে পড়ে মন্থর ও একঘেয়ে।
তবে এই মৌসুমে ব্যতিক্রম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিল গতিময় ও বাউন্সি উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টেও উইকেট ছিল একই রকম।
উইকেটের হারিয়ে ফেলা আচরণের প্রত্যাবর্তনে খুশিই ওয়ালশ। ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কপট আক্ষেপও করলেন। নিজের ঘরের মাঠ জ্যামাইকাতেও একই রকম উইকেট থাকবে, ধারণা করছেন বাংলাদশের বোলিং কোচ।
“অ্যান্টিগার মতেই উইকেট আশা করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য তো কার্যকর হয়েছে। সবুজ সিমিং ও বাউন্সি উইকেট। ভালো লাগছে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সেসব উইকেট আবার ফিরে আসছে। মনে হয়, একটু দ্রুতই অবসর নিয়ে ফেলেছি!”
“ঘরে ফিরে ভালো লাগছে। টেস্ট ম্যাচটির জন্য মুখিয়ে আছি। এখানেও আশা করছি উইকেটে ঘাস থাকবে, বাউন্স থাকবে।”
জ্যামাইকার সবচেয়ে বিখ্যাত সন্তানদের একজন ওয়ালশ। স্যাবাইনা পার্কের একটি প্রান্তের নামকরণ করা হয়েছে তার নামে। বছর পর বছর দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই মাঠে। এখানকার নাড়ি-নক্ষত্র তার জানা। মাঠের সবকিছু চেনা হাতের তালুর মতোই। এই মাঠকে জানতে তার চেয়ে ভালো আর কে আছেন! বাংলাদেশের জন্য এই টেস্ট তাই বড় সুযোগ।
অ্যান্টিগায় পেসারদের জন্য মনের মতো উইকেটেও ভীষণ রকম বিবর্ণ ছিলেন রুবেলরা। জ্যামাইকায় শিষ্যদের জ্বলে উঠতে দেখতে চান ওয়ালশ।
“আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করতে হবে। আমাদের ফাস্ট বোলারদের জন্য এটি আরেকটি ভালো সুযোগ। স্যাবাইনা পার্কে কিভাবে বল করতে হয়, এখানকার যতটুকু আমি জানি, অবশ্যই ওদেরকে অবশ্যই জানাব। আশা করি মাঠে গিয়ে ওরা সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারবে।”
ম্যাচের প্রথম সকালে ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া, দুই দিন আর এক সেশনে হার, অ্যান্টিগা টেস্ট বাংলাদেশের জন্য ছিল দুঃস্বপ্ন। ওয়ালশের আশা, জ্যামাইকায় মিলবে স্বস্তির দেখা।
“প্রথম টেস্ট অবশ্যই আমাদের প্রত্যাশা মতো ভালো যায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব ভালো খেলেছে এবং জিতেছে। তবে আরেকটি টেস্ট আছে। আমাদের সুযোগ আছে ঘুরে দাঁড়ানোর। আশা করি, আমরা যতটা পারি, ভালো খেলব। উন্নতি করত পারব। অবশ্যই এটি বড় এক পরীক্ষা। দেশের বাইরে আমাদের রেকর্ড ভালো নয়। আমরা চেষ্টা করব সেটি ভালো করার।”
জ্যামাইকা টেস্ট শুরু বৃহস্পতিবার থেকে।