আরেকবার সুযোগ এলে কাজে লাগাব: মুশফিক

কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে দেওয়ার আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেই তিনিই আবার কঠিন করে তুলেছেন কাজ। জয়ের আশা জাগিয়েও দলকে জেততে না পারায় হতাশ মুশফিকুর রহিম। শোনালেন পরেরবার সুযোগ কাজে লাগানোর আশা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2018, 07:39 PM
Updated : 7 June 2018, 10:49 PM

শেষ ৩ ওভারে যখন প্রয়োজন ৩৩ রান, রশিদ খানের এক ওভার ম্যাচ থেকে অনেকটাই দূরে ঠেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই ওভারে এসেছিল মাত্র ৩ রান।

কিন্তু পরের ওভারেই আবার আশার দোল। মুশফিকের ব্যাটে করিম জানাতকে টানা পাঁচটি বাউন্ডারি। শেষ বলের সিঙ্গেলে ওভারে ২১ রান। স্ট্রাইকেও মুশফিক।

পরমুহূর্তেই চূড়া থেকে পতন। শেষ ওভারে রশিদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্রথম বলেই আউট মুশফিক। ওই ওভারে ৯ রানের হিসাব মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরেছে ১ রানে।

৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংসটি অবশ্য মুশফিককে এনে দিয়ছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তবে কণ্ঠে তার হতাশার সুর।

“১ রানে হারাটা অবশ্যই হতাশার। সিরিজ যদিও আগেই হেরে গিয়েছিলাম, একটি জয় তবু দলকে স্বস্তি দিতে পারত। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে সেটি হয়নি। পরেরবার যদি সুযোগ আমার কাছে আসে, আশা করি আমি কাজে লাগাব।”

বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এদিন ১৪৫ রানে থমকে গিয়েছিল আফগানিস্তান। যদিও মুশফিকের মতে, সেই রান তাড়াও সহজ ছিল না। তবে আফগানদের প্রাপ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

“জানতাম এই উইকেট রান তাড়া কঠিন হবে। একই উইকেটে তিনটি ম্যাচ, শেষ ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন। শেষ দুই ওভারে ২-৩ রানের ঘাটতি ছিল আমাদের। সত্যি বলতে, ১৯তম ওভারে ২০ রানের বেশি আসাটাই তো অপ্রত্যাশিত।”

“আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা দারুণ খেলেছে। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। রশিদ-নবি-মুজিবের মতো তিনজন স্পিনার থাকলে প্রতিপক্ষের কাজ কঠিন। ওরা দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছে।”