২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যর্থতার পর সেই সময়ের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও সহঅধিনায়ক তামিম ইকবালকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয় মুশফিকুর রহিমকে, সহঅধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সেবার বছর দুয়েক দায়িত্বে থাকার পর নিজের ক্যারিয়ারের দুঃসময়ে সহঅধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। তখন সুযোগ হয়নি নেতৃত্ব দেওয়ার।
এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন। তার নেতৃত্বে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিসিএল জিতেছে দল। বিপিএলে শিরোপার স্বাদ না পেলেও তার নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে তুমুল। আগ্রাসী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বে নিজের একটা ধরনও প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন।
গত ডিসেম্বরে আবার টেস্ট নেতৃত্ব ফিরে পান সাকিব, এবার তার ডেপুটি হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। তখন কে জানত, সাকিবের ফেরার আগেই অভিষেক হয়ে যাবে তার সহকারীর!
দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে, রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। তবে মাহমুদউল্লাহর মনে বিধছে অস্বস্তির কাঁটাও।
“যেভাবে পেয়েছি (নেতৃত্ব), সেভাবে পেতে চাইনি অবশ্যই। কারণ সাকিব আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। ওকে হারানো দলের জন্য বড় একটা বিপর্যয়ই বলতে হবে। ওর মতো টপ ক্লাস ক্রিকেটারকে না পাওয়া দলের জন্য অবশ্যই ক্ষতির।”
“তারপরও দিন শেষে আমরা সবাই বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করাও একটা সুযোগ। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে তার দলকে নেতৃত্ব দেওয়া, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া। সেদিক থেকে চিন্তা করলে অবশ্যই (স্বপ্নপূরণ)।”