টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের পর তানবীর হায়দার ও মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে লিড নেয় মধ্যাঞ্চল। দক্ষিণাঞ্চলের ৪৪৮ রানের জবাবে দলটি করে ৫০৫ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চল ৩ উইকেটে ১২০ রান করলে ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক। সে সময়ে শাহিরয়ার নাফীস ৫০ ও আল আমিন জুনিয়র ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দুটি চারে ১৪ রান করে ফিরেন জিয়াউর রহমান। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে তিনটি চারে ১৮ রানে তাকে অনুসরন করেন সৌম্য। দলে জায়গা হারানো বাঁহাতি এই ওপেনার ভুগছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। এর আগে প্রথম ইনিংসে ফিরেন ১০ রানে।
দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া তুষার ফিরেন ১৬ রান করে। এই ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রাজ্জাক।
তাইবুর রহমানকে দ্রুত বিদায় করেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১২২ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৭৬ রান করা মেহরাব জুনিয়রকে ফেরত পাঠান রাজ্জাক।
৭৩ রানের জুটিতে দলকে লিডের কাছে নিয়ে যান তানবীর ও নাদিফ। ৪০ রান করে নাদিফের রান আউটে ভাঙে জুটি। পরের বলে মোশররফ হোসেনকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দেন মোসাদ্দেক। এই অফ স্পিনার পরে ফিরিয়ে দেন ইরফান শুক্কুরকে।
তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নিয়ে মধ্যাঞ্চলকে গুটিয়ে দেন রাজ্জাক। ১১১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭৭ রান করে ফিরেন দলকে লিড এনে দেওয়া তানবীর।
১৫২ রানে ৪ উইকেট নেন রাজ্জাক। মোসাদ্দেক ৩ উইকেট নেন ৫৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪৪৮
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ৩১৩/২) ১৫০.৪ ওভারে ৫০৫ (সাদমান ৮৯, রবি ৯০, রকিবুল ৮২, মেহরাব জুনিয়র ৭৬, তাইবুর ১৩, নাদিফ ৪০, তানবীর ৭৭, মোশাররফ ০, ইরফান ১৭, হায়দার ৭, এবাদত ০; রাজ্জাক ৪/১৫২, আল আমিন ০/৫৩, মোসাদ্দেক ৩/৫৯, মেহেদি ১/৭২, জিয়া ১/৩১, সৌম্য ০/২৩, সাকলাইন ০/৯৭, তুষার ০/৮)
দক্ষিণাঞ্চল ২য় ইনিংস: ২৬ ওভারে ১২০/৩ (জিয়া ১৪, সৌম্য ১৮, শাহরিয়ার ৫০*, তুষার ১৬, আল আমিন জুনিয়র ২০*; হায়দার ০/২২, এবাদত ১/১৫, তানবীর ১/৩৫, রবি ০/৩৩, মেহরাব জুনিয়র ০/৩, সাদমান ০/১০)