দক্ষিণ আফ্রিকায় সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে খেলা বাংলাদেশ দল থেকে সৌম্য, তাসকিন, লিটন ছাড়া বাদ পড়েছেন মুমিনুল হক ও শফিউল ইসলাম।
তামিম ইকবাল চোট পাওয়ায় মুমিনুল ছিলেন ‘কাভার’। এবার তামিম সম্পূর্ণ ফিট। অন্য ওপেনার ইমরুল কায়েসের কিছুটা চোট আছে, তবে তার কাভার হিসেবে এবার মুমিনুলের কথা বিবেচনা করেননি নির্বাচকরা। মুস্তাফিজুর রহমানের চোটে দলে ছিলেন শফিউল ইসলাম। বাঁহাতি পেসার ফেরায় বাদ পড়েছেন তিনি।
এনামুল, মিঠুন ও মুস্তাফিজের সঙ্গে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচের দল ঘোষণার সময় মিনহাজুল জানান, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবার।
“টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা দল গঠন করেছি। সেই হিসেবে আমরা দল করার সময় অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছি।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় রান না পাওয়ায় বাদ সৌম্য, লিটন। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরায় ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে দলে ডাক পেলেন এনামুল।
“এনামুল যথেষ্ট ভালো খেলেই সুযোগ করে নিয়েছে। দুই বছর ধরেই পারফরম্যান্স করছে। আশা করি সে এখানে ভালো করতে পারবে।”
বিপিএলে রংপুর রাউডার্সের হয়ে শিরোপা জেতায় অবদান রাখা মিঠুনকে নিয়েও আশাবাদী সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল।
“মিঠুন ঘরোয়া ক্রিকেট খুব ভালো খেলেছে এবার। টিম ম্যানেজমেন্ট ওর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। আমাদের ধারণা সুযোগ পেলে ও দেশের জন্য ভালো খেলবে।”
দুই বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ও নাজমুল ইসলাম অপুর মধ্যে হয়েছে প্রবল প্রতিযোগিতা। তাদের মধ্যে কেন একটি ওয়ানডে খেলা সানজামুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিলেন মিনহাজুল।
“সানজামুল বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের সিস্টেমের মধ্যে ছিল। এইচপিতে ছিল, কোচের আন্ডারে ছিল। সে অনেক উন্নতি করেছে। সেই হিসেবে অপু আমাদের কোথাও ছিল না। ওর এখনও যথেষ্ট সময় আছে। এই কারণে সানজামুলকে এগিয়ে রেখেছি। বিপিএলে ভালো খেলেছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেছে বলে অপুকে আমরা রেখেছি। সামনে তো সময় আছে।”
ইমরুলের চোটের জন্য একজন বাড়তি খেলোয়াড় রাখা হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়ায় বেড়েছে একজন পেসার। তাই ১৬ জনের দল।
“১৬ জন দেওয়ার কারণ ইমরুল। ওর চোটের একটা সমস্যা আছে। টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা আছে, কোন কন্ডিশনে কিভাবে দল গঠন করবে। সেই হিসেবে আমরা একজন পেসার বেশি নিয়েছি।”
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন এনামুল ও মিঠুন। প্রধান নির্বাচক জানান, ওয়ানডেতে এখনও তাদের প্রথম পছন্দ মুশফিক।
“প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিম। এনামুল ও মিঠুনের বাইরে ফিল্ডিং করার দক্ষতা আছে। বিপিএলে এনামুল বেশিরভাগ ম্যাচে বাইরে ফিল্ডিং করেছিল। সবমিলিয়ে ওরা আত্মবিশ্বাসী। আর দরকার হলে এনামুল, মিঠুন আছে, ওরাই কিপিং করতে পারবে।”