মাথা খুলতে খুলতে বিরতি চলে আসে: সাকিব

সেই এপ্রিলের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ। অক্টোবরের শেষে এসে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। লম্বা বিরতিতে যেন নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানদের।

ক্রীড়া প্রতিবেদক পচেফস্ট্রুম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2017, 02:34 PM
Updated : 29 Oct 2017, 11:29 AM

পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে রোববার সফরের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে সাকিবের দল। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়।

শনিবার অনুশীলনের আগে অধিনায়ক জানান, প্রতিবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে নিজেদের সম্পূর্ণ নতুন করে প্রস্তুত করতে হয় তাদের।   

“হঠাৎ করে যখন খেলবেন, তখন প্রথম ম্যাচে এমনিতেই প্রথম মনে হবে। তারপর আস্তে আস্তে মাথা খোলা শুরু হয়। খুলতে খুলতে আবার ছয় মাসের বিরতি চলে আসে। এটা কঠিন।”

“কোনো দেশই তো একটা-দুইটার বেশি টি-টোয়েন্টি খেলে না। হাতেগোনা কয়েকটা দল আছে, যারা হয়তো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে। অবশ্যই যত বেশি খেলা হবে, তত বেশি ভালো হবে। কিন্তু এগুলো তো আর অজুহাতের মধ্যে পড়ে না। যখনই খেলব, চেষ্টা থাকবে যেন ভালো করতে পারি। ম্যাচটা জিততে পারি।”

২০ রানে হারা প্রথম ম্যাচে ৪৫টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জানান, পরের ম্যাচে ডট বলের সংখ্যা কমানোর দিকে বাড়তি মনোযোগ থাকবে তাদের।

“এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। সাধারণত যেটা হয় যে, টি-টোয়েন্টিতে ডট বল ৩০ থেকে ৪০-এর ভেতরে থাকে। তাই ৩০ থেকে ৩৫ এর ভেতরে যদি ডট বলের সংখ্যা রাখা যায় তাহলে আমার কাছে খুবই ভালো মনে হয়।”

“তাই চেষ্টা থাকবে যত কম ডট বল খেলা যায়। বিশেষ করে মিডল ওভারগুলোতে, এমনকি প্রথম ৬ ওভারেও। বাউন্ডারির সাথে সাথে যদি প্রান্ত বদল করে খেলা যায় তাহলে ব্যাটসম্যানের ওপর থেকে চাপটাও কমে যায়। একই সময়ে রানটাও বাড়তে থাকে।”

টি-টোয়েন্টিতে সব বল মারতে হবে- সতীর্থদের এমন দর্শন থেকে বের হয়ে আসার কথা বলেছেন সাকিব। দিয়েছেন পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার তাগিদ।

“(প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারগুলোয়) যদি আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেলতাম, তাহলে আরও বেশি ম্যাচের কাছে যেতাম বা জেতাও সম্ভব ছিল। ওই পরিস্থিতিতে আমাদের দরকার ছিল, চার-পাঁচ ওভার উইকেট না হারিয়ে রান করার।”

“রান করতে গেলে তো ঝুঁকি নিতেই হয়। তাই ওখানে আসলে সমস্যাটা তৈরি হয় বলে আমার মনে হয়। কিন্তু এই দুইটার একটা ভারসাম্য আনা জরুরি। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, আপনার ঝুঁকিও নিতে হবে, রানও করতে হবে, আবার উইকেটও থাকতে হবে। সব কিছুর একটা ভারসাম্য যদি থাকে, আমার কাছে মনে হয় ভালো রান করা সম্ভব।”

অধিনায়কের চাওয়া অনুযায়ী খেলায় ভারসাম্য আনতে পারলে শেষটা জয় দিয়ে রাঙানো সম্ভব। হতাশার সফরে সেটা হতে পারে বড় প্রাপ্তি।