যেমন সফল চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনেও। যখন নেমেছিলেন ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশাহারা বাংলাদেশ। সেখান থেকে সাব্বিরের ব্যাটেই দল পেল দিশা। অপরপ্রান্তে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম পেলেন ভরসা। গড়ে উঠল জুটি। সহজাত সব শট খেলেই সাব্বির দূর করলেন চাপ।
শেষ পর্যন্ত আউট হলেন একটু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে। ন্যাথান লায়নের বলে তাল সামলাতে না পেরে স্টাম্পড।
এর আগে যা করেছেন, তাতে বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে দল। সেঞ্চুরি হয়নি, তবে এই ইনিংসটি তাকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে আরেকটু। এই বিশ্বাস যে তার মত খেলেও সফল হওয়া যায়।
তার মত ব্যাটসম্যানের জন্য কাজটি এমনিতে কঠিন। শট খেলতে গিয়ে আউট হলে সমালোচনার শেষ নেই। আবার শট না খেললে তারা ঠিক নিজেদের চেহারায় থাকেন না। তাদের ভাবনার জগতে তাই অনেক কিছুর দোলাচল।
সেটি থেকে দূরে থাকার পথটাও সাব্বির বের করেছেন নিজের মত করেই। প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, তিনি শুধু নিজের কথাই শোনেন। দলে ভুমিকার কথাই ভাবেন।
“মাইন্ডসেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি মানসিকতা ঠিক করে গেছি, সেভাবে খেলে সফল হয়েছি। আরও রান করতে পারতাম। তবে দলকে কিছু দিতে পেরেছি, এতেই খুশি।”
“আমি অনুশীলন করি অনেক। ম্যাচ তো খুবই কম খেলেছি। অভিজ্ঞতা বেশি নেই। এসব উইকেটে নিজের মত খেলে যাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। রান করা গুরুত্বপূর্ণ। টিকে থাকতে চাইলে আমি হয়ত আউট হয়ে যেতে পারি। চাই যে যতক্ষণ থাকব, রান যেন বাড়িয়ে যেতে পারি। দলে এটিই আমার ভূমিকা।”
পজিশন নিয়ে ক্রমাগত আলোচনাতেও কান দেন না। যেখানেই সুযোগ পান, ভালো করার চেষ্টা করেন। আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসে চারে ব্যাট করে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। এই টেস্টে সাতে নেমে ৬৬। ছয়-সাতেই তিনি বেশি কার্যকর, এই ধারণার লোকেরা যুক্তিতে পেয়েছে জোর।
তবে সাব্বির নিজে এখানে ব্যাটিং পজিশনের কোনো ব্যাপারই দেখছেন না।
“শততম টেস্টে আমি চার নম্বরে খেলেছিলাম। দুটি চল্লিশ করেছিলাম। চার নম্বরে খেলে আমি শূন্য করি বা একশ করি, সেটা ব্যাপার না। মানসিকভাবে কিভাবে নিজেকে সেট করতে পারি, সেটাই গুরুত্বপূর্ন। একটা শূন্য করেছি বলে সাতে নেমেছি, এমন নয়। দলের কম্বিনেশনের জন্য সাতে খেলছি।”
তার সত্যিকারের আদর্শ পজিশন কোনটি, এটি ঠিক করে দেবে সময়। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ইনিংস নিশ্চিতভাবেই তার কাছে হয়ে থাকবে সামনে চলার পাথেয়।