বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের খেলা আগেভাগে শেষ হয়ে যায়। তবে এরই মধ্যে প্রতিপক্ষের উপর বেশ বড় একটা রানের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা; আট উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে তারা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৬০ রানে এগিয়ে ইংলিশরা, হাতে আছে দুই উইকেট।
৬৭ রানে অপরাজিত মইন আলি। সঙ্গে শূন্য রানে আছেন স্টুয়ার্ট ব্রড।
ম্যানচেস্টারে রোববার ৯ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র ৬ রান যোগ করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে পাওয়া এই ১৩৬ রানের লিডেই মূলত শক্ত ভিত পেয়ে যায় ইংল্যান্ড।
তারপরও মর্নে মর্কেল ও কাগিসো রাবাদার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের শুরুটা ছিল বেশ ভালো। অ্যালেস্টার কুক ও টম ওয়েস্টলিকে দ্রুত ফেরান মর্কেল। আরেক ওপেনার কিটন জেনিংসটনকেও থিতু হতে দেননি রাবাদা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ডেভিড মালানও মহারাজের শিকার হলে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৭২/৪।
এরপর দলের হাল ধরেন মইন; বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৯ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি।
ম্যাচের বাকি এখনও দুই দিন। জয়ের সম্ভাবনা ধরে রাখতে চতুর্থ দিন সকালে মইনকে দ্রুতই ফেরাতে চাইবে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য তাদের জন্য লক্ষ্যটা এখনই পাহাড়সম হয়ে উঠেছে। এই মাঠে এর আগে এত বেশি রান তাড়া করে জিতেনি কোনো দল। সঙ্গে পিচে এখনই যেমন স্পিন ধরছে এবং অসম বাউন্স দেখা যাচ্ছে, তাতে আমলা-দু প্লেসিদের লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
১৯৯৮ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাটাও তাই জোরালো হয়ে উঠেছে ২-১ এ এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১০৮.৪ ওভারে ৩৬২
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৬৮.৩ ওভারে ২২০/৯ (এলগার ০, কুন ২৪, আমলা ৩০, বাভুমা ৪৬, দু প্লেসি ২৭, ডি কক ২৪, ডি ব্রুইন ১১, মহারাজ ১৩, রাবাদা ২৩, মর্কেল ২০*, অলিভিয়ের ৪; অ্যান্ডারসন ৪/৩৮, ব্রড ৩/৪৬, রোল্যান্ড-জোন্স ১/৪১, মইন ২/৫৭, স্টোকস ০/৩৪, মালান ০/৭)
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৬৬.২ ওভারে ২২৪/৮ (কুক ১০, জেনিংস ১৮, ওয়েস্টলি ৯, রুট ৪৯, মালান ৬, স্টোকস ২৩, বেয়ারস্টো ১০, মইন ৬৭, রোল্যান্ড-জোন্স ১০, ব্রড ০*; মর্কেল ২/৩৯, রাবাদা ২/৩৭, মহারাজ ১/৯১, অলিভিয়ের ৩/৩৮