ভারতের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রি

ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর আসতে শুরু করেছিল আগেই, এবার ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চিত করেছে বিরাট কোহলিদের প্রধান কোচ হয়েছেন রবি শাস্ত্রি। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক এই অলরাউন্ডার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2017, 05:31 PM
Updated : 11 July 2017, 06:23 PM

ভারতের বোলিং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক বাঁহাতি পেসার জহির খান। আর বিদেশ সফরে ব্যাটিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন রাহুল দ্রাবিড়।

নতুন কোচদের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট শ্রীলঙ্কায়। ২৬ জুলাই শুরু হবে প্রথম টেস্ট।

বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সিকে খান্না মঙ্গলবার রাতে নতুন কোচদের নাম ঘোষণা করেন।

সাবেক অলরাউন্ডার শাস্ত্রি স্থলাভিষিক্ত হলেন অনিল কুম্বলের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন ভারতের কিংবদন্তি এই লেগ স্পিনার।

২০১৪ সালের অগাস্ট থেকে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দুই বছরের জন্য ভারত দলের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন শাস্ত্রি। তিনি এই দায়িত্ব পাওয়ার সময়ে প্রধান কোচ ছিলেন ডানকান ফ্লেচার। ২০১৫ সালে তার মেয়াদ শেষ হলে আর সেই সময়ে নতুন কোচ নেয়নি ভারত।

গত বছর কোচ হওয়ার দৌড়ে কুম্বলের কাছে হেরে যান শাস্ত্রি। এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আবার কোচের সন্ধানে বিজ্ঞাপন দিলেও শুরুতে আবেদন করেননি। তবে কুম্বলের পদত্যাগের পর আবেদনের সময় বাড়ানো হলে আবেদন করেন তিনি।

ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শাস্ত্রি ১১ বছরের ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৮০টি টেস্ট ও ১৫০টি ওয়ানডে খেলেছেন।

৩৮ বছর বয়সী জহির ৯২টি টেস্ট, ২০০টি ওয়ানডে আর ১৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেন। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ে বাঁহাতি এই পেসার রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কোচিংয়ের কোনো অভিজ্ঞতা নেই তার। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে এই বছরও খেলেছেন আইপিএলে।  

গত ৩০ জুন আরও দুই বছরের জন্য ভারত ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচের দায়িত্ব পান দ্রাবিড়। এরপরই দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মেন্টরের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এখন কোহলিদের বিদেশ সফরের সময় জাতীয় দলের হয়ে পালন করবেন বাড়তি দায়িত্ব।

আগেরবারের মত এবারও ভারতের কোচ নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির (সিএসি)। এই কমিটিতে ছিলেন তিন ভারতীয় গ্রেট শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষন। আগ্রহী ১০ প্রার্থীর মধ্যে নিজেরা বাছাই করে তারা সাক্ষাৎকার নেন পাঁচজনের, টম মুডি, শাস্ত্রি, লালচাঁন রাজপুত, বিরেন্দর শেবাগ ও রিচার্ড পাইবাস। ফিল সিমন্সকে ডাকলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষৎকার দিতে যাননি সাবেক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।

প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শেষে গত সোমবার কমিটির হয়ে সৌরভ জানিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলতে চান তারা। যেন তারা চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়ার আগে সবাই একমত হতে পারে।

ইংল্যান্ডে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে মেয়াদ শেষ হয় আগের কোচ কুম্বলের। বোর্ড অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত তার মেয়াদ বাড়িয়েছিল, কিন্তু কুম্বলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে থেকে কোহলির সঙ্গে কুম্বলের দ্বন্দ্ব নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। কোহলি যদিও সেটা স্বীকার করেননি। কিন্তু কুম্বলের দায়িত্ব ছাড়ার চিঠিতে সেই দ্বন্দ্বের কথাই উঠে আসে।