বোলিং পরিবর্তন বা মাঠ সাজানোয় হুটহাট কিছু সিদ্ধান্তে এভাবে সবাইকে চমকে দেওয়া মাশরাফির জন্য এবারই প্রথম নয়। বেশিরভাগ সময় তা কাজে লেগেও যায়। তবে মাশরাফির এই প্রবণতা মাথায় রেখেও এদিনের সিদ্ধান্ত অনেককে করেছে অবাক।
মোসাদ্দেক এমনিতে একরকম নিয়মিত বোলারই। উইকেটও তখন একটু শুষ্ক, মন্থর হতে শুরু করেছে খানিকটা। তার পরও শেষের দিকে অফ স্পিনারকে প্রথমবার বোলিংয়ে আনা ছিল দারুণ সাহসী সিদ্ধান্ত।
সেই সিদ্ধান্তই তৈরি করে দিল বাংলাদেশের জয়ের পথ। ব্রুম ও কোরি অ্যান্ডারসনকে তিন বলের মধ্যে ফেরালেন মোসাদ্দেক। পরে ফেরালেন জিমি নিশামকেও। ৩ ওভারে ওই ৩ উইকেটের ধাক্কা আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে তুলতে পারে তারা মাত্র ৬২ রান।
কি ভেবে ওই সময় মোসাদ্দেককে এনেছিলেন? হুট করে নয়, মাশরাফি সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন অনেক ভেবেই।
“ওকে আগে আনিনি কারণ, মাঠ এক পাশে বেশ অনেক ছোট। আর বাতাসের পক্ষে অফ স্পিনার আনতে চাচ্ছিলাম না। আমি অপেক্ষা করছিলাম বাঁহাতির জন্য। নিউ জিল্যান্ডে নিশাম ও অ্যান্ডারসন ওর বলে আউট হয়েছিল। এটা মাথায় ছিল।”
মাশরাফি প্রায়ই বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যতবার নিজের ‘গাট ফিলিং’ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ব্যর্থ হয়েছেন কমই। সাহসিকতার পুরস্কারের ভাণ্ডারে যোগ হলো নতুন আরেকটি। মোসাদ্দেকের তিন ওভারের ভেল্কি!