স্যাবিনা পার্কে শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৪৪ রান। অধিনায়ক হোল্ডার ৩০ ও বিশু ২৩ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেটে দুই জন এরই মধ্যে গড়েছেন ৫৫ রানের জুটি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুক্রবার শুরুতেই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় বলেই উইকেট নেন অভিষিক্ত পেসার মোহাম্মদ আব্বাস।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকে চেপে ধরা বাঁহাতি পেসার আমিরের দারুণ দুই ডেলিভারিতে উড়ে যায় শিমরন হেটমায়ার ও শাই হোপের অফ স্টাম্প।
অভিষিক্ত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হেটমায়ার সময় মতো ব্যাট নামাতে পারেননি। ডানহাতি হোপের ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে।
প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ১৩৫ রানের চমৎকার ইনিংস খেলা ভিশাল সিং টেস্টে নিজের প্রথম ইনিংসে যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ওয়াহাব রিয়াজের লেগ স্টাম্পের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন আজহার আলির হাতে।
কয়েকবার একটুর জন্য বেঁচে যাওয়া কাইরান পাওয়েল ফিরেন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় বলে তাকে ইউনুস খানের ক্যাচে পরিণত করেন আমির।
৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন ভীষণ বিপদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১৮ রানের জুটিতে সেখান থেকে দলকে বের করে আনেন চেইস ও ডাওরিচ।
আমির-আব্বাস-ওয়াহাবকে সামাল দিয়েছেন ঠিকঠাক। সবচেয়ে ভালো খেলছিলেন ইয়াসির শাহকে। অর্ধশতক করার পর শেষ পর্যন্ত দুই জনেই উইকেট দিয়ে আসেন এই লেগ স্পিনারকে।
ইয়াসিরকে উড়ানোর চেষ্টায় ওয়াহাবের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন চেইস (৬৩)। পরের বলে লেগে অনেকটা সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ডাওরিচ।
১৮৯ রানে ৭ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এরপর পথ দেখাচ্ছেন হোল্ডার-বিশু।
দ্বিতীয় নতুন বলে জুটি ভাঙার আশায় ছিল পাকিস্তান। আলোক স্বল্পতায় বল নেওয়ার পর এক ওভারের বেশি করতে পারেনি অতিথিরা।
২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার আমির। ২ উইকেট নিতে লেগ স্পিনার ইয়াসির খরচ করেছেন ৯১ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৮১ ওভারে ২৪৪/৭ (ব্র্যাথওয়েট ০, পাওয়েল ৩৩, হেটমায়ার ১১, হোপ ২, ভিশাল ৯, চেইস ৬৩, ডাওরিচ ৫৬, হোল্ডার ৩০*, বিশু ২৩*; আমির ৩/২৮, আব্বাস ১/৪২, ওয়াহাব ১/৬৬, ইয়াসির ২/৯১)