যেখানে ছিলাম সেখানে ফিরতে চাই: নাসির

নিজেকে প্রমাণ করে জাতীয় দলে ফেরায় প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে নাসির হোসেনের। অফ স্পিনিং এই অলরাউন্ডারের পরের লক্ষ্য একাদশে ফেরা। চূড়ান্ত লক্ষ্য অবশ্যই জাতীয় দলে আগের মতো নিজের জায়গাটা প্রতিষ্ঠিত করা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2017, 02:09 PM
Updated : 20 April 2017, 03:28 PM

নিজের সেরা সময়ে ‘দ্য ফিনিশার’ নামেই পরিচিত ছিলেন নাসির। বরাবরই বলেন, এই ভূমিকায় নিজেকে মেলে ধরতে খুব পছন্দ করেন। ম্যাচ শেষ করে আসার সেই চ্যালেঞ্জ আবার নিতে মুখিয়ে আছেন। আয়ারল্যান্ডে সুযোগ মিললে কাজে লাগাতে চান দুই হাতে।

“যারা আমাকে নির্বাচন করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ। তারা আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। আমি সব সময়ই চেষ্টা করেছি পারফর্ম করতে। যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছি পারফর্ম করতে চেয়েছি। এখন সুযোগ পাওয়াই শেষ কথা নয়। আসল কাজ হলো সেখানে গিয়ে পারফর্ম করা।” 

“অবশ্যই চাইবো যে জায়গায় ছিলাম সেখানে ফিরতে। ম্যাচ শেষ করে আসতে সব সময়ই আমার ভালো লাগে। মনে হচ্ছে আগে যে ছন্দে ছিলাম সেটা ফিরে পেয়েছি। যদি সুযোগ মিলে সেই সময়ে যেমন খেলতাম তেমন খেলার চেষ্টা করবো।”

একাদশে ফিরতে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে নাসিরকে। সাব্বির রহমান টপ অর্ডারে যাওয়ার পরও লড়াইটা সহজ নয়। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার আরও তিন জন আছেন দলে- মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বোলিংয়ে এগিয়ে থাকায় মিরাজের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত। লড়াইটা তাই মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেকের সঙ্গে।

এসব ভাবনাতেই আনতে চান না নাসির। সতীর্থদের সঙ্গে লড়াই দেখেন না তিনি, “সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। কারা একই ধরনের খেলোয়াড় সেটা নিয়েও চিন্তা করছি না, সবাই বাংলাদেশ দলে খেলে। বড় কথা হলো, সুযোগ এলে ভালো খেলার চেষ্টা করবো। ভালো খেলে দলে জায়গা করে নিতে চাই।” 

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে হারিয়ে যখন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে আসছিলেন নাসির তখন তার চারপাশে জটলা। সেলফি, অটোগ্রাফের আবদার মেটাচ্ছিলেন। নাসির জানান, ভক্তদের ভালোবাসাকে চাপ নয় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখতে চান। 

“এটা চাপ তৈরি করে হয়তো। সঙ্গে অনেক আত্মবিশ্বাসও দেয়। মানুষ আমাকে পছন্দ করে, আমার জন্য দোয়া করে- এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। সবাই যে আমাকে ভালোবাসে, উঠতে বসতে এর প্রমাণ পাই। সুযোগ পেলে তাদের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা তো থাকবেই।” 

পেস বোলিংয়ে খানিকটা দুর্বলতা ছিল নাসিরের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেভাবে রানের মধ্যেও ছিলেন না। কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, দলে ফিরতে প্রচুর রান করতে হবে নাসিরকে। সেটা করেছেনও এই অলরাউন্ডার।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ আসরে করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে করেছেন ঝকঝকে এক শতক। চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ শুরু করেছেন তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস দিয়ে। নাসির জানান, এই রান পাওয়া তার কষ্টের ফল।

“জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও অনেকগুলো ম্যাচ খেলছি। চার দিনের ম্যাচ খেলছি। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে খেলছি। অনুশীলনও করেছি। আমার মনে হয় এখন সেটারই পুরস্কার পাচ্ছি।” 

“এখন আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো। যখন রান আসে তখন আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আমার সেটাই হয়েছে। আর যেটা বললাম, সুযোগ পাওয়াই বড় কথা নয়। ওখানে গিয়ে পারফর্ম করাটাই বড়।”

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই অপরাজিত নাসির। দলও পেয়েছে সহজ জয়। আয়ারল্যান্ডেও ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান তিনি।